এনআইএ-র হাতে ভীমা কোরেগাঁও মামলা, মোদি-শাহকে তুলোধনা রাহুলের

রাজ্য (মহারাষ্ট্র) সরকারকে এড়িয়েই ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্ত এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

Written by SNS New Delhi | January 27, 2020 1:02 pm

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

রাজ্য (মহারাষ্ট্র) সরকারকে এড়িয়েই ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্ত এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবারই এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে মােদি সরকার। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন বিরােধী নেতারা।

প্রসঙ্গত, গতকালই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেছিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভীমা কোরেগাঁও মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরােধিতা করে এদিন টুইট করেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, মােদি-শাহের কেউ বিরােধিতা করলেই তিনি হয়ে যাবেন শহুরে নকশাল। এনআইএ-কে দিয়ে চেষ্টা করলেও ভীমা কোরেগাঁও প্রতিরােধের প্রতীক মুছতে পারবে না মােদি সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতারাও। কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলাচ্ছে বলে অভিযােগ করেছে শিবসেনাও। এনসিপির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানকে পদদলিত করারই সামিল। যদিও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরােধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। এর ফলে শহুরে নকশালদের মুখােশ খুলে যাবে।

প্রতি বছরই ১ জানুয়ারি ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে ভীমা কোরেগাঁওয়ের জয়স্তম্ভে প্রচুর দলিত মানুষ জড়াে হন। ১৮১৮ সালের এই দিনেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পেশােয়াদের পরাজিত করেছিল। সে সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সাহায্য করেছিল তৎকালীন সমাজে অস্পৃশ্য বলে পরিচিত মাহার জনগােষ্ঠী। পেশােয়া পদের বিলুপ্তির দিনটি তারা বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে থাকে। তবে ২০১৭ সালে এই অনুষ্ঠান ঘিরে তুমুল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে পুনের ভীমা কোরেগাঁও এলাকায়।

এই ঘটনার তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ সরকার। তদন্তে নেমে সমাজকর্মী ভারভারা রাও, গৌতম নওশাখা, অরুণ ফেরেইরা, রােনা উইলসন, ভারনন গনজালভেস, সুধা ভরদ্বাজ সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। তদন্তে মাওবাদীদের একটি চিঠি পাওয়ার দাবি করে পুলিশ। যাতে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক কষা হয়েছিল। সেই চিঠিতে ভারভারা রাও-সহ একাধিক সমাজকর্মীর নাম ছিল বলে দাবি পুলিশের।