এসআইআর নিয়ে মঙ্গলবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কার্যত ‘বোমা’ ফাটালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, তিনি সমীক্ষার নামে ভোটার তালিকায় কারচুপির প্রমাণ দ্রুত জনসমক্ষে তুলে ধরবেন। তিনি দাবি করেছেন, এই ষড়যন্ত্র এতটাই গভীর যে পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এলে কার্যত ‘ডেটা বোমা’ ফাটবে।
মঙ্গলবার লোকসভা চত্বরে রাহুল গান্ধীকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি খুবই ইঙ্গিতপুর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, শাসকদল পদ্ধতিগতভাবে ভোট চুরি করছে। লোকসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের আবার মনে করিয়ে দেন যে, তাঁরা সংবিধান রক্ষার লড়াই করছেন। রাহুলের এই আক্রমণকে সমর্থন করেছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুল জানিয়েছেন, ‘আর কিছুদিন দাঁড়ান, একটু ধৈর্য ধরুন। একটা নয়, অনেক আসন রয়েছে। এটা জাতীয় স্তরে পদ্ধতিগতভাবে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানে আমরা জানি’।
কমিশনের প্রমাণ চাওয়ার দাবিকে নস্যাৎ করে তিনি বলেন, ‘আগে প্রমাণ ছিল না, এখন প্রমাণ রয়েছে। আমরা সংবিধান রক্ষা করি। এক ব্যক্তি, এক ভোট সংবিধানের ফাউন্ডেশন। আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব তাঁরা এক ব্যক্তি, এক ভোট লাগু করবেন। কিন্তু তাঁরা তা করেননি। আমরা শুধুমাত্র সংবিধান রক্ষা করছি। আমরা থামব না।’ এরপরই রাহুল বলেন, ‘আভি পিকচার বাকি হ্যায়।’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে ভোটচুরির অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটার তালিকা ধরে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ‘প্রমাণ’ পেশ করেন। সেখানে কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, ছয় পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। তিনি নাম এবং ঠিকানা তুলে ধরে দেখিয়েছিলেন যে একই ঠিকানায় দেখা গিয়েছে আশিজন ভোটারের নাম, আবার এমনও ঠিকানা দেখা গিয়েছে, যেটি আসলে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা এবং সেখানে কেউ থাকেন না। পাশাপাশি ছবি ভুল এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি।