অসমের সব স্কুলে বাধ্যতামূলক হবে অসমিয়া ভাষা, জমি কিনতে পারবেন একমাত্র ভূমিপুত্ররাই

পুরনাে বিতর্ক ফের ফিরছে অসমে। রাজ্য ভাষা হিসাবে অসমিয়াকেই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছেন অমিত শাহরা।

Written by SNS Guwahati | December 23, 2019 3:40 pm

হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Photo: IANS)

পুরনাে বিতর্ক ফের ফিরছে অসমে। রাজ্য ভাষা হিসাবে অসমিয়াকেই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছেন অমিত শাহরা। এমনকী অসম বিধানসভার আগামী অধিবেশনে সেই বিষয়টি পাশ করিয়ে অসমের সমস্ত স্কুল অসমিয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন স্বয়ং অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।

শুধু তাই নয়, আনা হচ্ছে আরও একটি আইন। অসমিয়াদের জমি বাঁচানাের জন্য আনা হচ্ছে নতুন একটি আইন। নতুন এই আইন অনুযায়ী, অসমিয়ারা ছাড়া আর কেউ রজ্যে জমি কিনতে পারবেন না।

অসমকে তার জন্য সংবিধান সংশােধনের ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দল ও মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এনআরসি নিয়েও বিস্তর আলােচনা করেছিলেন। তবে অসমের রাজ্যভাষা হিসাবে অসমিয়াকে স্বীকৃতি দিলে ফের দানা বাঁধতে পারে ভাষা আন্দোলন।

সােশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে সােচ্চার হয়েছেন অনেকে। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, এরকম অনৈতিকভাবে সংবিধান পাল্টে বাংলা ভাষা নিয়ে ছিনিমিনি খেললে বরাক উপত্যকা অসম থেকে পৃথক হয়ে যাবে।

এদিকে জমি কেনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বরপেটা ও ধুবরির মতাে জেলায় অসমের ভূমিপুত্ররা তাদের জমি হারাচ্ছেন। অর্থনৈতিক কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তারা যখন যাচ্ছেন, তখন তাদর জমি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। আর সেই জমির মালিক যাঁরা হচ্ছেন, তারা কেউই অসমের ভূমিপুত্র নন। তা বন্ধ করতেই বিধানসভার আগামী অধিবেশনে একটি বিল আনা হবে। অসমে ক্যাবের বিরুদ্ধে যেভাবে বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদের।

উল্লেখ্য অসম রাজ্যে কাছাড় জেলার শিলচর, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জে হাজার হাজার বাঙালি থাকতেন। সে সময় অসমিয়ারা মনে করেছিলেন, বিপুল সংখ্যক বাঙালির বাস তাদের অধিকারকে খর্ব করছে। আর বাঙালিদের জন্য যখন একটি রাজ্য রয়েছে, তখন আর তাদের অসমে থাকা কেন?

জাতিবিদ্বেষী এই মনােভাবে সিলমােহর দিয়েছিল অসম প্রদেশ কংগ্রেসের একটি সিদ্ধান্ত। ১৯৬০ সালে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অসমে অসমিয়াই হবে একমাত্র স্বীকৃত ভাষা। সেই জাতিবিদ্বেষের জিগিরে হাজার হাজার বাঙালিকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে হয়েছিল বাংলায়। অনেকে মারাও গিয়েছিলেন।