দেশেই জোগানের অভাব, সার্বিয়াতে প্রোটেকটিভ গিয়ার পাঠাল ভারত, অস্বীকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

করোনা মোকাবিলায় সার্বিয়াতে ৯০ টন প্রোটেকটিভ গিয়ার পাঠিয়েছে ভারত। যদিও এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।

Written by SNS New Delhi | April 2, 2020 5:17 pm

সার্বিয়াতে প্রোটেকটিভ গিয়ার পাঠাল ভারত। (Photo: Twitter | @UNDPSerbia)

সোমবার সরকারি এক এজেন্সি স্বীকার করে নিয়েছে ভারতে করোনা মোকাবিলার জন্য প্রোটেকটিভ গিয়ারের চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। তাই বিদেশ থেকে আমদানি করার চিন্তাভাবনা করছে তারা। তারমধ্যেই জানা গেল করোনা মোকাবিলায় সার্বিয়াতে ৯০ টন প্রোটেকটিভ গিয়ার পাঠিয়েছে ভারত। যদিও এই কথা অস্বীকার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।

এই কথা জানাজানি হয়েছে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সার্বিয়ার শাখার করা একটা টুইটে। এই টুইটে তারা লিখেছে, ৯০ টন প্রোটেকটিভ গিয়ার নিয়ে বোয়িং ৭৪৭-এর দ্বিতীয় কার্গো ভারত থেকে বেলগ্রেড এল।

সার্বিয়ার সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী কেনার পুরো টাকাটাই দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সার্বিয়া সরকারও করোনা মোকাবিলায় তৎপর জানানো হয়েছে, এই ৯০ টন প্রোটেকটিভ গিয়ারের মধ্যে ৫০ টন সার্জিক্যাল গ্লাভস এবং কভারঅল রয়েছে।

কোচি বিমানবন্দরের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, এর আগে ২৯ মার্চ আর একটি বিমান ৩৫ লাখ সার্জিক্যাল গ্লাভস ও অন্যান্য প্রোটেকটিভ গিয়ার নিয়ে বেলগ্রেড উড়ে গিয়েছিল। ৩০ টনের এই কার্গোকে বেলগ্রেড যাওয়ার ছাড়পত্র দিয়ে সেই ব্যাপারে টুইটও করেছিল কোচির শুল্ক দফতর। এই টুইটে লেখা হয়েছিল, ভারত থেকে ৩৫ লাখ সার্জিক্যাল গ্লাভস ও অন্যান্য প্রোটেকটিভ গিয়ার সার্বিয়া পাঠানো হল। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে লড়াইয়ে কোচির শুল্ক দফতরও নিজেদের যোগদান দিয়েছে।

এই কথা জানাজানি হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যেখানে দেশে প্রোটেকটিভ গিয়ারের খামতি রয়েছে, সেখানে বিদেশে কেন রফতানি করা হচ্ছেএই সামগ্রী । এর জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের কোনও ঘটনা তাদের জানা নেই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ভারতে যেন প্রোটেকটিভ গিয়ারের অভাব না হয়। তার জন্য বিদেশ থেকেও আমরা আমদানি করছি। সার্বিয়ার এই ঘটনার ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না আমি।

সঠিক প্রোটেকটিভ গিয়ারের অভাবে অন্তত ১০০ জন চিকিৎসককে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাই করে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন তাঁরা। এমনও খবর পাওয়া গিয়েছে, কোথাও চিকিৎসকরা রেনকোট ও বাইকের হেলমেট পরেও চিকিৎসা করছেন।