এর আগে জো বাইডেনের আমলে চার্টার্ড বিমানে করে ফেরত পাঠানো হয়েছিল অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের। তবে এবার আমেরিকার সামরিক বাহিনীর বিমানে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ঘটনাচক্রে, চলতি মাসেই ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে আমেরিকান দূতাবাসের ওই মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমেরিকা থেকে ভারতে বিমান পাঠানোর বিষয়ে অনেকেই আমার কাছে জানতে চাইছেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারব না।’ এর পরেই অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকার কড়া পদক্ষেপের কথা জানান তিনি।
অমেরিকায় ভারতীয অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আগেই মোদীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। তখন বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, কোনও ভারতীয় নাগরিক যদি অবৈধভাবে আমেরিকায় বসবাস করে তবে তাদের ফেরত নিতে ভারতের কোনও আপত্তি নেই।
দ্বিতীয়বার মার্কিল প্রেসিডেন্টের পদে আসীন হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসন ও অনুপ্রবেশের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কঠোর বার্তা দেন ট্রাম্প। এর আগে গুয়াতেমালা, পেরু, হন্ডুরাসের মতো দেশেও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন।
সূত্রের খবর, ভারতীয় সময় মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ টেক্সাস থেকে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বিমান সি-১৭। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই বিমান ভারতে পৌঁছে যাওয়ার কথা। অমৃতসরে এসে নামার কথা এই অভিবাসীদের । সংবাদ সংস্তথা সূত্রে খবর, মোট ২০৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। তবে মোট কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা সরকারিভাবে জানানো হয়নি।
‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন’ – ভোটের প্রচারে ট্রাম্পের মূল অস্ত্রই ছিল এই স্লোগান। তার মধ্যে ছিল আমেরিকায় মার্কিন নাগরিকদের গুরুত্ব দেওয়া। নিজের দেশের মাবনুষ যেন কোনওভাবেই বঞ্চিত না হন। সেই আহেই ট্রাম্পের কড়া অভিবাসন নীতি। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমেরিকায় থাকা অন্তত ১৮ হাজার ভারতীয়কে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। এবার তাঁদের আমেরিকা থেকে ‘বিতাড়িত’ করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তাঁরা যে ভারতের নাগরিক, সেটার পর্যাপ্ত প্রমাণও রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের হাতে। দিল্লির তরফেও সাহায্য করা হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ পাওয়ার জন্য।