অমরনাথ যাত্রার শুরুতেই বিপত্তি। দুর্ঘটনার মুখে পড়ল তীর্থযাত্রীদের বাসের কনভয়। শনিবার সকালে পুণ্যার্থীদের একটি দল কয়েকটি বাসে জম্মুর ভগবতী নগর থেকে অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দেন। রামবান জেলায় চান্দেরকোট লঙ্গরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তীর্থযাত্রীদের কনভয়ের একটি বাস পেছন থেকে চারটি বাসকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৩৬ জন তীর্থযাত্রী জখম হয়েছেন। তীর্থযাত্রীদের কনভয় যখন টিফিনের জন্য থেমেছিল, তখন চান্দেরকোট লঙ্গরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তীর্থযাত্রীদের কনভয়টি টিফিনের জন্য নির্ধারিত বিশ্রামস্থল চান্দেরকোট থামে। সেই সময় একটি চলন্ত বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলির সঙ্গে সেই বাসটির সংঘর্ষ হয়, যার ফলে বেশ কয়েকটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমপক্ষে ৩৬ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, কনভয়ে থাকা বাস ব্রেক ফেল হওয়ার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একে অন্যের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
রামবানের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) কুলবীর সিং বলেন, ‘কনভয়টি টিফিনের জন্য চান্দেরকোটে থামে। তারপর পিছন থেকে আসা একটি বাস চারটি বাসকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় প্রায় ৩৬ জন যাত্রী জখম হয়েছেন, যাঁদের বেশিরভাগই সামান্য আঘাত পেয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর, বেশিরভাগ ভক্তই ফের যাত্রা শুরু করেছেন। তবে, তিন থেকে চারজন যাত্রীর আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের আর ভ্রমণ করতে দেওয়া যাচ্ছে না।’
আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শুরু করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনার পর, কনভয়ের পরবর্তী যাত্রা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর, ভক্তদের আবার গন্তব্যস্থলে পাঠানো হয়।
সমুদ্র থেকে ৩৮৮৮ মিটার উঁচুতে রয়েছে অমরনাথ গুহা। কাশ্মীরের এই তীর্থস্থানে পৌঁছনোর জন্য দুটি রুট ব্যবহার করা হয়। একটি পহেলগাম রুট, অন্যটি তুলনায় কম দূরত্বের কিন্তু বেশি চড়াইয়ের বালতাল রুট। ৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। ৯ আগস্ট পর্যন্ত এই তীর্থযাত্রা চলার কথা। পহেলগামে জঙ্গি হামলা এবং তার জবাবে অপারেশন সিঁদুরের পরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অমরনাথ যাত্রার রুট।