• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দিল্লি বিস্ফোরণে চিকিৎসকদের পাকিস্তান থেকে টাকা পাঠিয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ

জম্মিলকে জেরা করতে গিয়েই উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, তা হল হাওয়ালার টাকার ভাগ নিয়ে চিকিৎসক উমর ও শাহিনের মধ্যে নাকি বচসা হয়েছিল।

দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই মিলছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার গোয়েন্দা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নাশকতার মূলে থাকা চিকিৎসক উমর, মুজম্মিল ও শাহিনের হাতে পাকিস্তান থেকে পৌঁছেছিল মোট ২০ লক্ষ টাকা, যা হাওয়ালার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তকারীরা দাবি করছেন, এই বিপুল অঙ্কের অর্থ পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের তরফ থেকে পাঠানো হয়েছিল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য। ফলে বিস্ফোরণকাণ্ডে পাকযোগের ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এনআইএ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তেই উঠে এসেছে, হাওয়ালার মাধ্যমে আসা ওই ২০ লক্ষ টাকা থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ব্যয় করা হয়েছিল ২৬ কুইন্টাল এনপিকে সার কিনতে। সাধারণত কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত এই সারে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাসিয়ামের মিশ্রণ। কিন্তু তদন্তে জানা গিয়েছে, এই সার বিস্ফোরক তৈরির অন্যতম উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। তদন্তকারীদের মতে, বিস্ফোরক বানাতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রেও ওই অর্থ ব্যবহার হয়েছিল।

Advertisement

সূত্রের খবর, মুজম্মিলকে জেরা করতে গিয়েই উঠে এসেছে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, তা হল হাওয়ালার টাকার ভাগ নিয়ে চিকিৎসক উমর ও শাহিনের মধ্যে নাকি বচসা হয়েছিল। এতে নিশ্চিত হচ্ছে যে, বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল সুপরিকল্পিত এবং এতে জড়িতদের মধ্যে আগাম অর্থ বণ্টন নিয়েও ছিল তীব্র টানাপোড়েন।

Advertisement

এখন তদন্তকারীদের মূল লক্ষ্য সেই ‘হ্যান্ডেলার’-এর খোঁজ, যার নির্দেশে সীমান্তের ওপার থেকে এই অর্থ পাঠানো হয়েছিল বলে অনুমান। তার সন্ধান মিললেই পরিষ্কার হবে জইশ-ই-মহম্মদই কি এই হামলার মদতদাতা, নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও কোনও জঙ্গি সংগঠন?

এদিকে দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি ৯ মিলিমিটার ক্যালিবারের কার্তুজ, যার দুটি তাজা এবং একটি খালি। সেনাবাহিনী ছাড়া এই ধরনের কার্তুজ সাধারণত কারও কাছে থাকার কথা নয়। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি, তবুও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন কার্তুজগুলি সেখানে কীভাবে এল এবং বিস্ফোরণের সঙ্গে তার কোনও যোগ রয়েছে কি না।

সব মিলিয়ে, গোটা ঘটনার তদন্তে একের পর এক রহস্য উন্মোচিত হলেও এখনও স্পষ্ট নয়, এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে ঠিক কারা রয়েছে। তবে প্রাথমিক সমস্ত তথ্যই দেখিয়ে দিচ্ছে, ষড়যন্ত্রের ‘ট্রিগার’ ছিল সীমান্তের ওপারেই।

Advertisement