• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

জেলের রক্ষী এবার এআই, মাদক-ফোন সবকিছুই নো এন্ট্রি

চণ্ডীগঢ়, ২৯ জানুয়ারি– জেলের ভেতর মাদক থেকে ফোন আনাগোনা অহরহ৷ জেলে নানান বাধা-নিষেধ অরোপ করেও কমানো যায়নি অবৈধ জিনিসের রমরমা৷ কিন্তু এবার সেই করতে মাঠে নামানো হল এআই অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে৷ অবৈধভাবে আনা এই মোবইল ফোনের মাধ্যমে জেলে বসেই বহাল তবিয়তে, বাইরে থাকা অপরাধীদের দিয়ে অপরাধ করিয়ে চলেছে কোনও অপরাধী৷ এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি

চণ্ডীগঢ়, ২৯ জানুয়ারি– জেলের ভেতর মাদক থেকে ফোন আনাগোনা অহরহ৷ জেলে নানান বাধা-নিষেধ অরোপ করেও কমানো যায়নি অবৈধ জিনিসের রমরমা৷ কিন্তু এবার সেই করতে মাঠে নামানো হল এআই অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে৷
অবৈধভাবে আনা এই মোবইল ফোনের মাধ্যমে জেলে বসেই বহাল তবিয়তে, বাইরে থাকা অপরাধীদের দিয়ে অপরাধ করিয়ে চলেছে কোনও অপরাধী৷ এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে পঞ্জাব৷ সেখানকার সরকার কারাগারগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-চালিত ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ফলে, জেলের ভিতর মাদক হোক কি মোবাইল ফোন বা অন্য যো কোনও সন্দেহজনক বস্তু – ক্যামেরায় ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এআই তা চিনে নেবে৷ অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্ক করবে জেল কর্তৃপক্ষকে৷ ফলে, বন্দিদের কাছে এই সকল বেআইনি জিনিস পাচার করা পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ সালে, পঞ্জাবের বিভিন্ন জেল থেকে ৪,৭১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছিল৷ এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে সরকার৷ কারাগারে যাওয়া-আসার সময়, সকল ব্যক্তিদের ফুল বডি স্ক্যান করা হবে৷ আর কারাগারের ভিতর নজরদারি চালাবে এআই-এর চোখ৷ কারাগার বা বন্দিদের ব্যারাকে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে, সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করবে এআই৷ এর জন্য পঞ্জাবের সমস্ত জেলে এআই-পরিচালিত সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে৷ প্রথমে পঞ্জাব পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশন পঞ্জাবের আটটি জেলে এই ব্যবস্থা স্থাপন করছে৷ কারাগার প্রাঙ্গণ বা ব্যারাকের বাইরে থেকে ভিতরে বা আশেপাশে কোনও জিনিস যদি ছুডে়ও দেওয়া হয়, সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বেজে উঠবে৷ এর ফলে, কারাগারের প্রত্যেক বন্দির উপর নজরদারির কাজ অনেক সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷
এআই ক্যামেরা এবং বডি স্ক্যানার বসানোর জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র চেয়েছে পাঞ্জাব জেল পুলিশ প্রশাসন৷ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই প্রক্রিয়া শেষ হলে, ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে৷ আটটি জেলে ক্যামেরা এবং বডি স্ক্যানার বসাতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে৷ ৭ ফেব্রুয়ারি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে এই কাজের অগ্রগতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে হবে সরকারকে৷ এর পাশাপাশি, লুধিয়ানায় একটি নতুন হাই সিকিওরিটি জেল তৈরি করতে চলেছে পঞ্জাব পুলিশ৷ ইতিমধ্যেই এর কাজ শুরু হয়েছে৷ লুধিয়ানার গর্সিয়া কাদের বক্স গ্রামে তৈরি হচ্ছে এই জেল৷ বন্দিদের বিশেষ ব্যারাকে রাখা হবে৷ তাদের শুনানিও হবে কারাগার থেকেই৷ তার জন্য কারাগারে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে৷তবে, কারাগারে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে দেশের মধ্যে পঞ্জাব প্রথম রাজ্য নয়৷ এর আগেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে গুজরাতের ভদোদরা কারাগারে৷