তেজস-এর সাফল্যের পরে বেসরকারি হাতে যাচ্ছে ১৫০ ট্রেন

গত ৫ অক্টোবর থেকে ট্রেন চালিয়ে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আইআরসিটিসি টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আয় করেছে ৩.৭০ লক্ষ টাকা।

Written by SNS New Delhi | November 14, 2019 3:52 pm

তেজস এক্সপ্রেস (File Photo: IANS)

দিল্লি ও লখনউয়ের মধ্যে তেজস এক্সপ্রেস চালিয়ে ভালাে লাভ এনেছে আইআরসিটিসি। এতে উৎসাহিত হয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলাচলকারী ১৫০টি ট্রেন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় রেল।

রেলমন্ত্রক সুত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে পাকা সিদ্ধান্ত নিতে কিছুদিনের মধ্যেই বৈঠকে বসতে চলেছে নীতি আয়ােগ সিইও অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বাধীন বিশেষ প্যানেল। বেসরকারি সংস্থার হাতে যাত্রী পরিষেবার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকার খসড়াপত্র তৈরির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই বৈঠকে।

যাত্রীদের উচ্চমানের পরিসেবা দেওয়ার উদ্দেশে বিমান পরিবহণ সংস্থা, ভ্রমণ সংস্থা, বড় মাপের হােটেল সংস্থা অথবা পরিবহণ সংস্থার হাতে ট্রেন চলাচলের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে রেল মন্ত্রক। রেল আধিকারিকদের সাম্প্রতিক বৈঠকে একাধিক বেসরকারি উড়ান সংস্থা ও হােটেল সংস্থা অংশগ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে ভিস্তারা, স্পাইস জেট, ইন্ডিগো এবং আরকে ক্যাটারার্সের মতাে নামি সংস্থা।

গত ৫ অক্টোবর থেকে ট্রেন চালিয়ে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আইআরসিটিসি টিকিট বিক্রির মাধ্যমে আয় করেছে ৩.৭০ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, ট্রেনে টিকিট বিক্রির হার ৮০-৮৫ শতাংশ। প্রতিদিন ট্রেন চালানাের খরচ দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা এবং টিকিট বিক্রি বাবদ আয়ের পরিমাণ দিন প্রতি ১৭.৫০ লক্ষ টাকা।

পরীক্ষামূলকভাবে আইআরসিটিসি’কে দু’টি ট্রেন চালানাের দায়িত্ব দিয়েছিল রেল মন্ত্রক। এর একটি লখনউ-দিল্লি রুটে এবং অন্যটি আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে চলার কথা ছিল। এর মধ্যে লখনউ-দিল্লি রুটে ট্রেন চালানাে শুরু করলেও আহমেদাবাদ-মুম্বই রুটে এখনও পর্যন্ত ট্রেন পরিচালনা শুরু করেনি আইআরসিটিসি।

যাত্রীদের বেশ কিছু আকর্ষণীয় পরিসেবা দিচ্ছে ভারতীয় রেলের এই শাখা সংস্থা, যার মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে খাবার, বিনামূল্যে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাত্রীবিমা এবং নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না চললে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা।

টেন্ডারে নির্বাচিত হলে ট্রেন চালানাের বরাত পেতে বেসরকারি সংস্থাকে লিজ বাবদ অর্থ এবং রেলের পরিকাঠামাে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ জমা করতে হবে। এছাড়া পরিচালক সংস্থাকে ক্যাটারিং ও ক্লিনিং পরিসেবার সঙ্গে যাত্রীদের বিছানাপত্রের ব্যবস্থাও করতে হবে। পরিবর্তে ডাইনামিক মােড-এ ট্রেনের ভাড়া নির্দিষ্ট করা, ট্রেনের টিকিট বিক্রি এবং ট্রেনের ভিতরে টিকিট পরীক্ষার ক্ষমতা দেওয়া হবে পরিচালক সংস্থাকে। কোনও অবস্থাতেই যাত্রীভাড়ায় কোনও রকম ছাড়ের সুবিধা থাকছে না এই ব্যবস্থায়।