অযােধ্যার বিতর্কিত জমি পাবে রাম লালা, দু’দিন আগেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তারপর সােমবার, সেই জায়গায় মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট তৈরির কাজ শুরু করে দিল সরকার। সরকারি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শীর্ষস্তরের মন্ত্রকের উচচপদস্থ আমলা, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রকও থাকবে সেই বাের্ডে। তারাই ট্রাস্ট গঠন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সতর্কতার সঙ্গে এগােনাের জন্য। বাের্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় ভালাে করে পড়ে নিয়ে, কোন কোন পক্ষকে যােগ করা যাবে, তা জানতে বলা হয়েছে। আইনমন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগােপালের থেকে আইনি পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এক উচচ পদস্থ আধিকারিক বলেন, আইন মন্ত্রক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের থেকে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে যে, কীভাবে ট্রাস্ট গঠন করা হবে, যারা মিলিতভাবে ঠিকভাবে অযােধ্যায় রামমন্দির গড়ে তুলতে পারবে। তিনি বলেন, ‘হিসাব করার কাজ চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি’। আরেক আধিকারিক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নাকি সংস্কৃতি মন্ত্রক, কারা ট্রাস্টের নােডাল বডি হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
Advertisement
শনিবার ঐতিহাসিক এবং সর্বসম্মত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, বিতর্কিত অংশের ২.৭৭ একর জমি যাবে রাম লালা বা ভগবান রামচন্দ্রের জন্য। ট্রাস্ট তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে তিন মাসের সময়সীমা দেয় প্রধানবিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সােমবার কেন্দ্রের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু একটি অতন্ত রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়, সেই কারণে, প্রাপ্য সময় পুরােটাই নেওয়া হবে, যাতে একটি শক্তপােক্ত রাস্তা বের করা যায়। দীর্ঘদিনের এই মামলা অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বাের্ড, চলতি মাসে পরের দিকে, বরাদ্দ করা জমি গ্রহণ করা নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাবরি মসজিদ ভাঙা হয় ১৯৯২-এর ডিসেম্বরে, তার আগে পর্যন্ত সেই জায়গাটি রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে বিশ্বাস। হিন্দু আন্দোলনকারীদের, সেই জমি মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপাের্ট তুলে ধরে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা নিশ্চিত হয়েছে যে, মসজিদের আগে একটি নির্মাণ ছিল, তবে সেটি মন্দির ছিল কিনা, তা বলা হয়নি। ১০৪৫ পাতার রায়ে, মসজিদের অধিকার থেকে মুসলিমদের অন্যায়বাবে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে মান্যতা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
Advertisement



