• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ফের আদানী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আমেরিকায়

হিন্ডেনবার্গের পর ‘সম্ভাব্য’ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওয়াশিংটন, ১৬ মার্চ– আদানি গ্রুপ ফের একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের আতসকাচের তলায়৷ হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের পর ‘সম্ভাব্য’ ঘুষ মামলায় গৌতম আদানি এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আমেরিকায়৷ মার্কিন তদন্তকারীরা তথ্য খুঁজে দেখছেন যে, গৌতম আদানি কিংবা তাঁর কোম্পানির কোনও ব্যক্তি ভারতে একটি বিদু্যৎ প্রকল্পে সরকারি আধিকারকদের ঘুষ দিয়ে সুবিধা

হিন্ডেনবার্গের পর ‘সম্ভাব্য’ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ
ওয়াশিংটন, ১৬ মার্চ– আদানি গ্রুপ ফের একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের আতসকাচের তলায়৷ হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের পর ‘সম্ভাব্য’ ঘুষ মামলায় গৌতম আদানি এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু আমেরিকায়৷ মার্কিন তদন্তকারীরা তথ্য খুঁজে দেখছেন যে, গৌতম আদানি কিংবা তাঁর কোম্পানির কোনও ব্যক্তি ভারতে একটি বিদু্যৎ প্রকল্পে সরকারি আধিকারকদের ঘুষ দিয়ে সুবিধা আদায় করেছেন কিনা৷ ব্লুমবার্গ নিউজ এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি কিংবা তাঁর কোম্পানির কেউ ঘুষ দানের সঙ্গে জডি়ত বলে সন্দেহ মার্কিন আইন ও বিচার বিভাগের৷ ‘সম্ভাব্য’ এই ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা৷আমেরিকার নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি’জ অফিস এবং ওয়াশিংটনের বিচার বিভাগের প্রতারণা সংক্রান্ত শাখা তদন্ত করছে৷ আদানি ছাড়াও ভারতের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদু্যৎ কোম্পানি আজুর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডকেও এই তদন্তে জোড়া হয়েছে৷
আদানি গ্রুপের তরফে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের কথা কোম্পানির জানা নেই৷ একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মতো আদানি গ্রুপও কাজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে চলে৷ আমরা ভারত কিংবা অন্যান্য দেশের দুর্নীতি বিরোধী এবং ঘুষ প্রদান দমন আইনের প্রতি সম্মান বজায় রেখে চলি এবং মান্যতা দিই৷ আজুর-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি৷ এমনকী ব্রুকলিন এবং ওয়াশিংটনের বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন৷
দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাব খর্ব করতে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় একটি বন্দর নির্মাণে আদানি গোষ্ঠীকে ৫৫৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিল ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফিনান্স কর্পোরেশন৷ মার্কিন বিচার বিভাগ আদানি কিংবা তাঁর প্রতিষ্ঠান এবং আজুরকে নোটিস না দিয়েই তদন্ত চালাতে পারে৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জন্য ভুল কাজ হয়েছে এমন অভিযোগ সাব্যস্ত করা যায় না৷ এমনকী সব ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগে বিচারের কাঠগড়ায় তোলা নাও হতে পারে৷ আসলে আমেরিকার ফরেন কোরাপ্ট প্র্যাকটিসেস আইন সেদেশের আইন-বিচার বিভাগের হাতে এই ক্ষমতা দিয়ে রেখেছে৷ এতে তারা বিদেশি কোম্পানিতে বিনিয়োগকারী মার্কিনদের স্বার্থ সুরক্ষিত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখে৷ যেমন, আদানি গ্রুপের আমেরিকায় ব্যবসা না করলেও মার্কিন বিনিয়োগকারীদের অর্থ ঢালা রয়েছে তাঁর কোম্পানিতে৷ এই কারণেই তদন্ত৷

Advertisement

Advertisement