• facebook
  • twitter
Friday, 6 December, 2024

প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডা

জয়পুর, ২৯ ফেব্রুয়ারি – প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দেওয়া হল ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডাকে। ১৯৯৩ সালে দেশের একাধিক জায়গায় ট্রেনে পর পর বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আব্দুল করিম টুন্ডা। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার টুন্ডাকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিল রাজস্থানের বিশেষ আদালত। তবে একই মামলায়  দুই অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন এবং ইরফানকে দোষী সাব্যস্ত করে

জয়পুর, ২৯ ফেব্রুয়ারি – প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দেওয়া হল ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আবদুল করিম টুন্ডাকে। ১৯৯৩ সালে দেশের একাধিক জায়গায় ট্রেনে পর পর বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আব্দুল করিম টুন্ডা। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার টুন্ডাকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিল রাজস্থানের বিশেষ আদালত। তবে একই মামলায়  দুই অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন এবং ইরফানকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

মুম্বাই বিস্ফোরণের পরই ১৯৯৩ সালে কোটা, কানপুর, সেকেন্দ্রাবাদ এবং সুরাটে ট্রেনে বোমা হামলা হয়। এই ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। ১৯৯৩ সালের সেই বিস্ফোরণের মূল চক্রী হিসাবে অভিযুক্ত হন টুন্ডা। ধরপাকড় শুরু হলে বাংলাদেশে পালিয়ে যান তিনি। ভারতীয় গোয়েন্দাদের অভিযোগ করেছিলেন, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলির নিয়মিত সাহায্য পেতেন টুন্ডা। টুন্ডার বিরুদ্ধে ওই বিস্ফোরণের মামলায় উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি বলে উল্লেখ করেছে আদালত।বৃহস্পতিবার প্রমাণ অভাবে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হল আদালত।

শুধু ১৯৯৩ সালই নয়, ১৯৯৬ সালের হরিয়ানার সোনিপতে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১৭ সালে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ১৯৯৭ সালের আরও একটি বোমা বিস্ফোরণের মামলায় গত বছরেই টুন্ডাকে বেকসুর খালাস করে হরিয়ানার এক আদালত। সেই মামলাতেও প্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাস করে আদালত। ১৯৯৭ সালের ২২ জানুয়ারি হরিয়ানার পুরতান সব্জি মণ্ডি এবং কিলা রোডে বিস্ফোরণ হয়। সেই ঘটনায় আট জন আহত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে নেপাল সীমান্ত থেকে টুন্ডাকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

টুন্ডা গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমেরও ঘনিষ্ঠ। বোমা বানাতে বিশেষভাবে দক্ষ টুন্ডা। সেই জন্যই মিস্টার বম্ব হিসাবে পরিচিত তিনি।  কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই তদন্তের দায়িত্বে ছিল। কিন্তু বিশেষ আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে বলে বিশেষ সূত্রে খবর।