রবিবার ভোররাতে (ভারতীয় সময়) ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে বোমা হামলা চালায় আমেরিকা। এর পর থেকেই পশ্চিম এশিয়ার আকাশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইরান সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয় তাদের আকাশসীমা। শুধু ইরানই নয়, ইজরায়েলও জানিয়েছে, আপাতত কোনও বিদেশি বিমান তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং কোনও বিমান ইজরায়েল থেকেও উড়তে পারবে না। কত দিন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, তা জানায়নি তারা। এই অস্থিরতার প্রভাব পড়ল আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলেও। চেন্নাই থেকে লন্ডনগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমান মাঝআকাশ থেকে ফিরে এল চেন্নাইয়ে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, লন্ডনগামী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ওই বিমানটি রবিবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিটে চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা ছিল। তবে প্রায় ৪০ মিনিট দেরিতে, ২০৬ জন যাত্রী নিয়ে উড়ে যায় বিমানটি। ভারতের আকাশসীমা পার করে বিমানটি যখন আরব সাগরের দিকে এগোচ্ছিল, তখনই পাইলটরা জানতে পারেন, ইরান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে, নির্ধারিত পথ ধরে আর লন্ডন যাওয়া সম্ভব নয়। তাৎক্ষণিকভাবে পাইলটরা যোগাযোগ করেন চেন্নাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। অনুমতি পেয়েই বিমানটি ‘ইউ-টার্ন’ করে ফিরে আসে চেন্নাইয়ে। সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের তরফে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীদের নামিয়ে টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য খাবার ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটিতে নতুন করে জ্বালানি ভরা হবে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার সময় ফের লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এবার ইরান এবং ইজরায়েলের আকাশসীমা এড়িয়ে বিকল্প রুটে যাত্রা করবে বিমানটি। এছাড়াও, চেন্নাই থেকে পশ্চিম এশিয়ামুখী অন্যান্য বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রাপথও বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমাসংস্থাগুলি।