ফের পুণ্যস্থানে পদপিষ্টের ঘটনায় নিহত একাধিক পুণ্যার্থী। গোয়ার শিরগাঁও মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৭ জন পুণ্যার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি। কিন্তু কীভাবে ওই মন্দিরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়েই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। আসল কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ততপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে রাজ্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্রের দাবি অনুযায়ী, মন্দিরের প্রাচীন রীতি মেনে চত্বরে ‘অগ্নিদিব্য’ নামে আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে কাঠ-কয়লা ব্যবহার করে আগুন জ্বালানো হয়। মন্দিরে প্রচলিত বিশ্বাস, এই আগুনের সামনে বসে কেউ যদি কোনও মানত করেন, তা হলে ভক্তের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়। প্রতি বছরই তাই এই ‘অগ্নিদিব্য’ অনুষ্ঠানে অংশ নেন প্রচুর ভক্ত। শুক্রবারে মন্দিরে ‘অগ্নিদিব্য’ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য রাত বাড়়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের ভিড় এতটাই বেড়ে যায় যে একটা সময়ের পর ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শনিবার ভোর ৪ টের সময় আচমকাই পুণ্যার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় তাঁরা হুড়োহুড়ি শুরু করে দেন। মন্দিরপ্রাঙ্গণ থেকে বের হতে গিয়ে অত্যধিক ভিড়ে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের মতে, ‘অগ্নিদিব্য’ রীতি যখন পালন করা হচ্ছিল সেই সময়ে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রীতি মেনে এখানে পুণ্যার্থীরা খালি পায়ে জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর দিয়ে হেঁটে যান। তার সাক্ষী হতে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। শুক্রবারও সেভাবেই শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল। আচমকা ঠেলাঠেলি শুরু হয়। পুলিশ থাকলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ভিড়ের মধ্যে অনেকে পড়ে যান। চারিদিকে শুরু হয়ে যায় আর্তনাদ। পরে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার অক্ষত কৌশল শনিবার জানিয়েছেন, পদপিষ্টের সঠিক কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।