বাড়ল উদ্বেগ, নিজামুদ্দিনের জমায়েতে অংশ নেওয়া তেলেঙ্গানার ৬ জনের মৃত্যু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার।

Written by SNS New Delhi | April 1, 2020 6:03 pm

নিজামুদ্দিনের জমায়েতে অংশ নেওয়া মানুষদের স্বাস্থপরীক্ষা চলছে। (Photo: AFP)

তেলেঙ্গানায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বলে সোমবার রাতে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দফতর থেকে একথা জানানো হয়েছে।

নিজামুদ্দিন এলাকার ওই সভায় অংশ নেওয়া আরও এক ধর্মীয় নেতার গত সপ্তাহে শ্রীনগরে মৃত্যু হয়েছে। নিজামুদ্দিনের সভায় যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য তেলেঙ্গানা সরকারের তরফে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। ওই দলের সদস্যরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিতও করেছেন।

চিহ্নিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এর মধ্যে কারও করোনা ধরা পড়লে সরকারের তরফে বিনামূল্যে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে। সেইসঙ্গে যারা দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার ওই ধর্মীয় সভায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার। কোনও ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক সমাবেশে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও চলতি মাসের প্রথম দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন অঞ্চলে ওই ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব এবং কিরঘিজস্তান থেকেও অনেক ব্যক্তি এতে অংশ নিয়েছিলেন।

এই ধর্মীয় সমাবেশ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকে সেখানে থেকে যান এমনকী গত মার্চ দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হওয়ার পরেও সেখানে হু মানুষ রয়েছেন। ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নেওয়া অনেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রথমে এই নিয়ে মুখে কুলুপ আটলেও অবশেষে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।

নিজামুদ্দিন এলাকার পরিস্থিতি যে ভালো নয়, সোমবার তা স্বীকার করে নিয়েছে প্রশাসন। এদিনই পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনা গিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ধরে। বহু মানুষকে ইতিমধ্যে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধর্মীয় সভার বিষয়টি নজরে আসার পরে আয়োজকদের আমরা নোটিস পাঠিয়েছি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই ধরনের সভার আয়োজন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবেনা, সেই সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সংক্রমণ রুখতে গোটা এলাকা ঘিরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বহু মানুষকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে বলে প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন।