রাজ্য ও কেন্দ্রের রিপোর্টে ভারতীয় শিশুদের নিয়ে মারাত্মক খবর উঠে এলো দেশের শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার বিচারপতি বি.ভি. নাগরত্ন এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে ভারতে নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে এক মামলার শুনানি চলাকালীন জানা গিয়েছে, ২০২০ সাল থেকে ভারতে এখনও নিখোঁজ প্রায় ৩৬,০০০ শিশু। এই ৫ বছরেও তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুলিশ গত চার বছরে নিখোঁজ প্রায় ৩ লক্ষ শিশুর বেশিরভাগকেই উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে দীর্ঘ ৫ বছরে নিখোঁজ শিশুদের কোনও খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় মামলাগুলি মানব পাচার বিরোধী ইউনিট বা অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
এদিন আদালতে নিখোঁজ শিশুদের ফেরানোর ব্যাপারে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী অপর্ণা ভাট জানান, যে অনেক ক্ষেত্রেই রাজ্য পুলিশ আন্তঃরাজ্য অর্থাৎ ইন্টারস্টেট শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে, বিচার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। তাই তিনি আদালতকে সিবিআইয়ের মতো জাতীয় সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতকে বলেন যে, খোয়া পায়া পোর্টাল ছাড়াও, সরকার রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে যে তারা যেন নিখোঁজ শিশুদের মামলা অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটে স্থানান্তর করে। যদি বাবা-মা বা আত্মীয়স্বজন অভিযোগ দায়ের করার চার মাস পরেও শিশুকে খুঁজে না পায়, তাহলেই এমনটা করা যেতে পারে।
কেন্দ্রের তরফে আদালতে পেশ তথ্য বলছে, বিহারে ২০২০ সাল থেকে ২৪,০০০-এরও বেশি শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, পুলিশ এখনও তাদের মধ্যে ১২,৬০০-এরও বেশি জনকে খুঁজে পায়নি। মধ্যপ্রদেশে এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানে ৫৮,৬৬৫ জন শিশুর নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে, পুলিশ চার মাসের মধ্যে ৪৫,৫৮৫ জনকে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে। তবুও, ৩,৯৫৫ জন শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওড়িশায়, ২০২০ সাল থেকে ২৪,২৯১ জন শিশু নিখোঁজ হয়েছে এবং পুলিশ এখনও তাদের মধ্যে ৪,৮৫২ জনকে খুঁজে পায়নি।