উধমপুর ও কিস্তওয়ারে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল তিন জঙ্গির। শুক্রবার সকালে কিস্তওয়ার জেলার চাতরুতে পাহাড় ঘেরা নাইদগাম জঙ্গলে সেনার সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক জইশ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। রাতে আরও দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, আখনুরে জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন এক সেনা অফিসার। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তিন জঙ্গির নাম সাইফুল্লাহ, ফরমান এবং বাশা। বেশ কিছু নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁরা। ওই তিন জইশ কমান্ডার জম্মু ও কাশ্মীরের তরুণদের মগজধোলাই করে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর কাজ চালাতেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনার দুই, পাঁচ এবং ন’নম্বর প্যারাকমান্ডো ইউনিটের পাশাপাশি সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এসওজি (স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ) বৃহস্পতিবার থেকে আখনুর সেক্টরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। অসম রাইফেলস বাহিনীও এই অভিযানে অংশ নেয়।
এলওসি লাগোয়া এলাকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের খবর মিলতেই এলাকা ঘেরার কাজ শুরু হয়। আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টারও দিয়েও দুর্গম এলাকায় নজরদারি চালানো হয়। অন্যদিকে, রাজৌরি সেক্টরেও রাতভর গুলির লড়াই চলে। এর পাশপাশি আখনুর সেক্টরের কেরি বট্টল এলাকায় শুক্রবার রাতে ব্যাপক গুলির লড়াই চলে। গুলি লেগে গুরুতর আহত হন ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) কুলদীপ চাঁদ। শনিবার সকালে তিনি শহিদ হয়েছেন। বিবৃতি দিয়ে সেনা তাঁর মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে এম৪ রাইফেল-সহ গোলাবারুদ। সম্প্রতি এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সন্ত্রাসবাদী হামলার লঞ্চপ্যাডগুলি সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেই সব জায়গা দিয়েই জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। কয়েকদিন ধরেই কিস্তওয়ার-সহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় চলছে ‘অপারেশন ছতরু’। জঙ্গিদের দমন করতে এই অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।