• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

‘বিষাক্ত’ কাশির সিরাপে ২০ জন শিশুর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক

বিষাক্ত কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ২০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও বহু শিশু।

প্রতীকী চিত্র

কাশির ওষুধ খেয়ে একের পর এক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। বিষাক্ত কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’ খেয়ে মধ্যপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ২০টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও বহু শিশু। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে এই সিরাপ খাওয়ার পর শিশুদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা স্রেসান ফার্মা-র মালিক রঙ্গনাথনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে চেন্নাই থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

সম্প্রতি কোল্ডরিফ সিরাপটি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সিরাপে রয়েছে বিপজ্জনক রাসায়নিক ডাই-ইথাইল গ্লাইকল (ডিইজি), যার পরিমাণ ৪৮.৬ শতাংশ, যেখানে অনুমোদিত সীমা মাত্র ০.১ শতাংশ। ডিইজি শরীরে গেলে কিডনি, লিভার ও স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে যেতে পারে, যার ফলেই শিশুদের মৃত্যু ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তে আরও প্রকাশ্যে এসেছে, স্রেসান ফার্মার ওষুধ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস-এর শংসাপত্র ছিল না। তবুও দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটি ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করে চলছিল। মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের ঘটনাগুলির পরে ওই সিরাপ দেশের ন’টি রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি স্রেসান ফার্মার কারখানা থেকে ডিইজি-র খালি কন্টেনারও উদ্ধার করা হয়েছে। সংস্থাটি ৪৬-৪৮ শতাংশ ডিইজি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করছিল। শুধু তাই নয়, যাঁদের প্রেসক্রিপশনে ওই সিরাপ দেওয়া হয়েছিল, এমন এক চিকিৎসককেও ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তামিলনাড়ু পুলিশের পক্ষ থেকেও রঙ্গনাথনকে খোঁজা হচ্ছিল এবং তাঁর বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে ২০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন রাজ্যের সরকার পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জনস্বাস্থ্যের প্রশ্নে এমন ভয়াবহ অবহেলার ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শিশুদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপের দাবি উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।

Advertisement

Advertisement