কিশোরীর মায়ের বয়ান অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে মিল আছে হাতরাসের ঘটনার। দুই বোন গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটার সময় জনা তিন তরুণ এসে তাদের বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যায়। তারপর জঙ্গলে মেলে ঝুলন্ত দেহ।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই জেলা জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। গ্রামবাসীরা লখনউ-লখিমপুর রাস্তা অবরোধ করে। উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বুধবার গভীর রাতে অবরোধ ওঠে।
Advertisement
ঘটনাচক্রে গতকালই লখনউয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল সমাজবাদী পার্টি। প্রধান বিরোধী দলের অভিযোগের তালিকায় ছিল নারীর নিরাপত্তা বিপন্নতার বিষয়টিও।
Advertisement
লখিমপুরের ঘটনার সঙ্গে ২০১৪ বাদাউনের ঘটনারও মিল রয়েছে। সেখানেও দুই দলিত কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ মিলেছিল। পরে জানা যায়, তাদের ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবারের ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, লখিমপুরের সেই নরসিংহাম থানা এলাকায় অতীতে এই ধরনের অপরাধের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। এমনকী ২০১১ সালে ওই থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধেও এক দলিত মহিলাকে ধর্ষনের পর খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তে অভিযুক্ত পুলিশের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।
Advertisement



