• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ, উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন ১৫০ জন আইনজীবী

দিল্লি, ৬ জুলাই –  কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন ১৫০ জন আইনজীবী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েও জেল থেকে মুক্তি পাননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বার বার জামিনের আর্জি  জানালেও জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া

দিল্লি, ৬ জুলাই –  কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন ১৫০ জন আইনজীবী। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েও জেল থেকে মুক্তি পাননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির নিম্ন আদালত জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বার বার জামিনের আর্জি  জানালেও জামিনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে।   যে প্রক্রিয়ায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে , তার বিরুদ্ধে এবার প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন দিল্লির বিভিন্ন আদালতের ১৫০ জন আইনজীবী। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে জামিন বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবীরা। 

দিল্লির নিম্ন আদালতে গত ২০ জুন সন্ধ্যায় জামিন পান অরবিন্দ কেজরিওয়াল । জানা যায়, পরেরদিন অর্থাৎ ২১ জুন কেজরিওয়াল মুক্তি পাবেন । কিন্তু  তখনই নিম্ন আদালতের বিরোধিতা করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দেয় ইডি। কেজরিওয়াল জেল থেকে বেরনোর আগেই ইডি আবেদন করে দিল্লি হাই কোর্টে। ইডির আবেদনের পরই উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিন স্থগিত হয়ে যায় । দিল্লির বিভিন্ন আদালতের প্রায় ১৫০ জন আইনজীবীর দাবি, যেভাবে কেজরিওয়ালের জামিন আটকানো হয়েছে তা  খুবই উদ্বেগের ।
 
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে ওই আইনজীবীরা জানান , “ ‘‘দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করেছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ আপলোড হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি দিল্লি হাই কোর্টে তার বিরোধিতা করে। দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন ইডিকে মামলা করার অনুমতি দেন এবং তার পরের দিনই মামলাটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। নিম্ন আদালতের আদেশ আপলোড হওয়ার মধ্যেই গোটা ঘটনা ঘটে । তাঁদের প্রশ্ন, নিম্ন আদালতের রায় আপলোড হওয়ার আগেই দিল্লির হাই কোর্টের বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন মামলাটি শুনলেন কীভাবে ? যে নির্দেশ আপলোডই হল না, তার বিরুদ্ধে তিনি মামলা গ্রহণ করলেন, শুনলেন, এমনকি স্থগিতাদেশও দিয়ে দিলেন। এটা উদ্বেগজনক।” ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “এর আগে ভারতের বিচারবিভাগে এই ধরনের ঘটনা কোনওদিন ঘটেনি।এ দেশের জনগণ  আশা এবং আস্থা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। এই আস্থাকে বিচারব্যবস্থা এবং আইনজীবীদের মাধ্যমে সুরক্ষিত করে রাখতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখেই আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’’ 

Advertisement

Advertisement