আরজি কর কাণ্ডের পর চলতি মাসের শুরুতে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ জানানোর জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। কমিটির নাম স্টেট লেভেল গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটি। মোট ৭ জনকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছিল। এবার এই কমিটি থেকে স্মার্ত পোলুই নামের চিকিৎসক পদত্যাগ করলেন। মুখ্যসচিবকে পাঠানো ইমেলে অনিবার্য কারণে ইস্তফার কথা বলা হয়েছে। তবে ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন স্মার্ত পোলুই।
ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি স্টেট লেভেল গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটির অংশ হিসেবে থাকতে পারব না। স্বনামধন্য এই কমিটিতে আমাকে রাখার জন্য অনেক ধন্যবাদ কিন্তু অনিবার্য কারণবশত আমার ভূমিকা পালন না করতে পারায় ক্ষমাপ্রার্থী।’ পদত্যাগের কারণ হিসেবে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। তবে এপ্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপের জন্য আমি অনুরোধ করব। ইতিমধ্যেই অনশনের ৯ দিন হয়ে গিয়েছে এবং ৩ জন জুনিয়র চিকিৎসক আইসিউতে ভর্তি হয়েছেন। এই নিয়ে গোটা চিকিৎসক মহল অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও হতাশ। দয়া করে সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের দাবিগুলি দেখুন।’
Advertisement
উল্লেখ্য, ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছিলেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ৬ জুনিয়র ডাক্তার। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আরজি করের চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোও। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন অনশনকারী অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। উত্তরবঙ্গে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অলোক বর্মা। অনশনমঞ্চে গুরুতর অসুস্থ জুনিয়র ডাক্তারদের অবর্তমানে নতুন করে অনশন শুরু করেছেন আরও দুইজন। অপরদিকে উত্তরবঙ্গেও আলোকের জায়গায় নতুন করে অনশন শুরু করেছেন সন্দীপ মণ্ডল নামে এক চিকিৎসক।
Advertisement
অনশনকারীরা মূলত জল খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ফলে তাঁরা অনেকটাই দুর্বল। রবিবার রাতে জল খেয়ে বমি করেছেন চিকিৎসক স্নিগ্ধা। পাশাপাশি চিকিৎসক তনয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মাথা ধরা ও দুর্বলতা, পেশিতে টানের মতো উপসর্গ রয়েছে তাঁর। শীঘ্রই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দিনে দুবার করে অনশনকারীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
Advertisement



