বেলস পলিসি বা মুখ অবশ এমন এক সমস্যা যা এই অগ্রগতির যুগেও আমাদের অজানা৷ এতে ডাক্তারি ভাষায় ফেসিয়াল বা বেল্স পলসি বলে আবার মুখ অবশ রোগ নামে খ্যাত৷ মানুষের মুখমণ্ডল এক বিশেষ ধরনের মাংসপেশি দ্বারা তৈরি, যার সাহায্যে মানুষ মুখের মাংসপেশির সংকোচন ও প্রসারণ দ্বারা কথা না বলেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে৷ আর এ জন্য একটি শিল্পের সৃষ্টি হয়েছে, যার নাম মূকাভিনয় শিল্প৷
অনেক সময়েই আমাদের অজান্তেই আমরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে৷ এই যেমন ঘটল সমীরের কাছে৷ সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ব্রাশ ও ধোয়ার জন্য বেসিনের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক, একি! একদিকে চোখ বন্ধ হচ্ছে না, হাঁ করতেই মুখ বেঁকে যাচ্ছে, মুখে জল নিলে মুখ থেকে পড়ে যাচ্ছে, গাল ফুলাতে পারছেন না, কপাল বা ভ্রু কুঁচকাতে পারছেন না, কী হলো? নিশ্চই ঘাবড়ে গেছেন৷ ঘাবড়ানোর কিছুই নেই৷ এ ধরনের সমস্যায় যদি কেউ পড়েন, তবে বুঝতে হবে আপনার মুখের নার্ভে এমন কোনো সমস্যা হয়েছে যার ফলে আপনার মুখের মাংসপেশি তার স্বাভাবিক কাজকর্মের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে৷ তবে এই রোগে আক্রান্ত আরেক জনের নাম নেওয়াই যায়। তিনি এনজিলা জোলি। হঠাৎই তিনি আক্রান্ত হন বেলস পলিসিতে। পরে অবশ্য অনেক চিকিৎসা-অধ্যাবসায় সারেন তিনি।
মুখমণ্ডলে সৃষ্টিকর্তা মানুষের সৌন্দর্য ও দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গ যেমন— মুখ, নাক, চোখ, কপাল, কান ইত্যাদি স্থাপন করেছেন এজন্য যে, এই অঙ্গগুলোর সাহায্যে মানুষ খাওয়া-দাওয়া, কথা বলা, শ্বাস গ্রহণ করা, দেখাশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে৷ যদিও ফেসিয়াল পলিসির সঠিক কারণ নির্ণয় অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন, তবে ফেসিয়াল নার্ভের- ভাইরাস আক্রমণ, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আঘাত, স্ট্রোক এসবের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়৷চিকিৎসা : যেহেতু এটি স্নায়ুবিক সমস্যাসৃষ্ট মাংসপেশির অবশতা, তাই চিকিৎসার মুখ্য ভূমিকা ও কার্যকর চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি৷ তবে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়া উত্তম৷
Advertisement
Advertisement



