শুক্রবার সকালে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বক্ষ বিভাগের সেমিনার হলে উদ্ধার হয় ওই স্নাতকোত্তর ডাক্তার ছাত্রীর ক্ষত বিক্ষত দেহ। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ রেসপিরেটরি মেডিসিনের ওপিডি বিভাগে ডিউটিতে যোগ দেন। এরপর তিনি ইউনিট ১১-এ -তে যোগ দেন। সেখানে ৬জন রোগীকে ভর্তি করেন। এরপর বিকেল তিনটে নাগাদ তিনি ইনডোর ওয়ার্ডের কাজে যোগ দেন। সেখানে রাত পর্যন্ত তিনি রাউন্ড দেন। সেখানে প্রতিটি বেডে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নেন।
এরপর তিনি কিছুক্ষণের জন্য খেতে যান। তাঁর সঙ্গে দুজন প্রথম বর্ষের পিজিটি, ইন্টার্ন এবং হাউস স্টাফ তাঁকে সহযোগিতায় ছিলেন। তিনি ইউনিটের চার্জে ছিলেন। সেজন্য রাত ২টো পর্যন্ত তিনি ডিউটি করেন। শুক্রবার ভোর ৪টে পর্যন্ত তাঁর ডিউটি ছিল। মাঝপথে সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যাওয়াটা কাল হয়ে দাঁড়ায়। তিনি সেমিনার হলে যাওয়ার সময় জুনিয়র ডাক্তারদের জানিয়ে যান। বলেন, ‘আমি একটু বিশ্রাম নিতে যাচ্ছি। ইমার্জেন্সি কিছু থাকলে আমাকে ডাকবে।’
Advertisement
উল্লেখ্য, যেসব চিকিৎসকরা নাইট ডিউটিতে থাকেন, তাঁদের অনেকেই অনেক সময় ডিপার্টমেন্টের স্লিপ ল্যাবে শুয়ে পড়েন। কিন্তু সেই রাতে সেখানে মাত্র একজন রোগী ছিলেন। সেজন্য ওই মহিলা চিকিৎসক চলে যান সেমিনার হলে। আর সেখানে যেতেই সব শেষ।
Advertisement
Advertisement



