• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে হৃদরোগের অস্ত্রোপচার, ‘এমআইসিএস’ সাড়া ফেলছে বিশ্ব জুড়ে

প্রথাগত ওপেন-হার্ট সার্জারির পথে না হেঁটে 'এমআইসিএস' বিশেষ যন্ত্র এবং রোবোটিক সহায়তায় পাঁজরের মধ্যে এবং চারপাশে ছোট ছেদ তৈরি করে।

নিজস্ব চিত্র।

বর্তমানে হার্টের অসুখে ভুক্তভোগী বয়স্ক থেকে শিশু সকলেই। প্রতিনিয়ত হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে অগণিত মানুষ। বিশেষ করে ভারতবর্ষে এই অসুখের প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। হৃদরোগের মূল কারণগুলি হল, অতিরিক্ত ধূমপান, অবসাদ, অস্বাস্থ্যকর জীবন, ডায়াবেটিস, শরীরচর্চা না করা এবং অতিরিক্ত চিন্তা করা। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে আরও মারাত্মক অবস্থা হতে পারে রোগীর।

সেই কথা মাথায় রেখে বি এম বিড়লা হাসপাতালের তরফে অত্যাধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে হার্টের রোগীদের বিশেষ অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এমআইসিএস (মিনিম্যালি ইনভেসিভ কার্ডিয়াক সার্জারি) -এর মাধ্যমে জটিল কার্ডিয়াক সার্জারির সম্পন্ন করছে বি এম বিড়লা। সফলভাবে চিকিৎসা করে, রোগীদের একটি নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্প প্রদান করেছে তারা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং রোগীর প্রতি যত্নশীল হয়ে এখানে কাজ করা হচ্ছে। প্রথাগত ওপেন-হার্ট সার্জারির পথে না হেঁটে ‘এমআইসিএস’ বিশেষ যন্ত্র এবং রোবোটিক সহায়তায় পাঁজরের মধ্যে এবং চারপাশে ছোট ছেদ তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের সাহায্যে রোগীরা তাঁদের স্বাভাবিক জীবনে অনেক সহজেই ফিরতে পারেন। ছোট ছেদগুলি সংক্রমণ, রক্তক্ষরণ এবং ব্যথার ঝুঁকি কমায, যেখানে প্রথাগত ওপেন-হার্ট সার্জারির ঝুঁকি অনেক বেশি।

Advertisement

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে হৃদরোগীদের জন্য ‘এমআইসিএস’ -এর উপকারিতা ব্যাখ্যা করে, বি এম বিড়লা হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারির (সিটিভিএস) ডিরেক্টর ডাঃ রতন কুমার দাস বলেন, ‘এমআইসিএস হল ঐতিহ্যবাহী ওপেন-হার্ট সার্জারির একটি উন্নত বিকল্প। এক্ষেত্রে রোগীরা অতি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন। সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কম থাকে। রক্তের ক্ষয় অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই পদ্ধতি ওপেন-হার্ট সার্জারির মতোই কার্যকর এবং বিশ্বাসযোগ্য।’

Advertisement

এমআইসিএস -এর মতো অত্যাধুনিক পদ্ধতিটি হার্ট সার্জারিকে নিরাপদ করে মানুষের জীবনকে পরিবর্তন করছে। রোগীর দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা, জটিলতা হ্রাস এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির কথা মাথায় রেখে নিরলস কাজ করে চলেছে বি এম বিড়লা হাসপাতাল।

Advertisement