বিজ্ঞানীদের একটি দল ফুসফুস স্ক্যান করার একটি নতুন পদ্ধতি তৈরি করেছে, যা বাস্তব সময়ে ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর চিকিৎসার প্রভাব দেখাতে সক্ষম। প্রতিস্থাপিত হওয়া ফুসফুসের কার্যকারিতা দেখতেও সাহায্য করছে এই স্ক্যান। যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি গবেষকদের নেতৃত্বে দলটি হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এবং ফুসফুস ট্রান্সপ্লান্ট প্রাপ্ত রোগীদের ক্ষেত্রে, শ্বাস নেওয়ার সময়ে কীভাবে ফুসফুসের ভিতরে এবং বাইরে বাতাস চলাচল করে, তা দেখতে সক্ষম হয়েছিলেন।
এই নিউক্যাসল হসপিটালস এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং নিউক্যাসল বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি ট্রান্সপ্ল্যান্ট মেডিসিনের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ফিশার বলেছেন, ‘আমরা আশা করি এই নতুন ধরনের স্ক্যান আমাদের ট্রান্সপ্লান্ট করা ফুসফুসের পরিবর্তনগুলি স্বাভাবিক ফুঁ দেওয়ার পরীক্ষা হওয়ার আগেই ফল নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। এর দরুন যে-কোনও চিকিৎসা আগে শুরু করা সম্ভব হবে এবং প্রতিস্থাপিত ফুসফুসকে আরও ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এটি সহায়তা করবে।’
রেডিওলজি এবং জেএইচএলটি ওপেনে প্রকাশিত গবেষণায়, দলটি ব্যাখ্যা করেছে যে- তারা কীভাবে পারফ্লুওরোপ্রোপেন নামের একটি বিশেষ গ্যাস ব্যবহার করে, যা এমআরআই স্ক্যানারে দেখা যায়। গ্যাসটির ব্যবহারে রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ায় কোনও বাধা আসে না। ফুসফুসে গ্যাস কোথায় পৌঁছেছে তা দেখার জন্য স্ক্যান করা যেতে পারে। নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিট থেলওয়াল বলেন, ‘স্ক্যানগুলি দেখায় যে ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোথায় বায়ুচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, কোন অংশগুলি চিকিৎসার মাধ্যমে উন্নতি করা সম্ভব।’
নতুন স্ক্যানিং কৌশলটি রোগীদের চিকিৎসা করার সময় বায়ুচলাচলের উন্নতির মাত্রা পরিমাপ করতে দেয়। এই ইমেজিং পদ্ধতি ফুসফুসের রোগের নতুন চিকিৎসার ক্লিনিকাল পরীক্ষায় মূল্যবান হতে পারে।