বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষা-নীরিক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথি (হৃৎপিণ্ডের অলিন্দের পেশীর একধরনের রোগ) হল অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের (হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত এবং দ্রুত স্পন্দন) নেপথ্যে থাকা একটি সঙ্কটজনক অবস্থা। এই অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথি এখন কার্ডিয়াক রিমডেলিং-এ (হৃৎপিণ্ডের আকারের পরিবর্তন) মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। লন্ডনে একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ২৬,০০০ মানুষের উপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়, এই অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথি সংক্রান্ত উপসর্গ এবং ফলাফল জানার জন্য। এর ফলে জানা গিয়েছে হৃদযন্ত্রের জটিলতর রোগগুলি অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথি দ্বারা কীভাবে প্রভাবিত হয়।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে জানতে পেরেছেন যে, অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথি, স্ট্রোক, অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের মতনই একটি আশঙ্কাজনক হৃদরোগ, যেটি আগে থেকে শনাক্ত করা গেলে পরে অনেক শারীরিক জটিলতা আটকানো যেতে পারে। হাইপারটেনশন, কোরোনারি আর্টারি ডিসিজ, অত্যধিক মদ্যপান এই রোগের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে পারে। আরও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করছেন ক্যাথিটার অ্যাব্লেশানের মত প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এই হৃদরোগের জটিলতা কমানো যায় কিনা।সম্প্রতি এই সমস্ত বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল থেকে চিকিৎসকেরা অ্যাট্রিয়াল কার্ডিওমায়োপ্যাথির চিকিৎসার জন্য বিভিন্নরকম ফলদায়ক উপায় অবলম্বন করছেন।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



