টোকিও, ২ জানুয়ারি: ধ্বংস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষকে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। জাপানের প্রশাসনিক স্তর থেকে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বহু হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা একটি বিপর্যয় মোকাবিলা বৈঠকের পর জানিয়েছেন, “বহু হতাহতের ঘটনা সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর বাড়িঘর ভেঙেছে।অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে।”
এদিকে এপর্যন্ত যে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ওয়াজিমা এলাকায়। উদ্ধারকারীরা ধ্বংস্তূপ সরিয়ে দ্রুত গতিতে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের দাপটে বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়েছে। প্রায় ৩২০০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে ইশিকাওয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে ডুবে আছে।
Advertisement
পিছিয়ে নেই জাপানের ভারতীয় দূতাবাস। একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলে বিপদগ্রস্ত ভারতীয়দের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করা হচ্ছে। চালু করা হয়েছে একাধিক হেল্প লাইন নাম্বার। যাতে যে কেউ সহযোগিতা পেতে পারেন।
Advertisement
তবে এই ভূমিকম্প এবং সুনামি সতর্কতার ঘটনা ২০১১ সালে জাপানের ভয়াবহ সুনামির স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে। সেসময় জাপানের উত্তর পূর্ব উপকূলে সুনামির ঢেউ প্রায় ১৫ মিটার জলস্ফীতি ঘটায়। ভাসিয়ে নিয়ে যায় বড় বড় বাড়ি ঘর। সেই সময় প্রায় ১৮০০০ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
Advertisement



