লখনউ, ৩১জুলাই– বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ না মন্দির সেই বিতর্ক গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ভারতীয় পূরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআইকে সমীক্ষার নির্দেশ আপাতত স্থগিত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আর এরই মাঝে বিতর্কে নতুন সংযোজন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। সোমবার তিনি জ্ঞানবাপী নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘জ্ঞানবাপী আদৌ কোনও মসজিদ নয়। মসজিদে কি ত্রিশূল থাকে, দেবতার মূর্তি থাকে? জ্ঞানবাপীতে সেগুলি কোথা থেকে এল? নিশ্চয়ই হিন্দুরা সেগুলি রাখেনি।’ তাঁর কথায়, ‘জ্ঞানবাপীকে মসজিদ বলাতেই যত বিবাদ।’ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য ঐতিহাসিক ভুলের কথা বিবেচনায় রেখে মুসলিমপক্ষের উচিত বিতর্কের মীমাংসায় আগে এগিয়ে আসা।
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদ কবে তৈরি হয়েছিল, সেটি অন্য কোনও নির্মাণ ভেঙে তৈরি হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভারতীয় পূরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআইকে সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল বারাণসী জেলা আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত সমীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে। ৩ অগাস্ট এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানাবে জরিপের আদেশ বহাল থাকবে কি না।
Advertisement
এই মামলার মাঝেই সোমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত মন্তব্য নয়া বিতর্ক তৈরি করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ‘বিবাদ মীমাংসায় সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে তার আগে মুসলিমপক্ষকে ঐতিহাসিক ভুলের কথা স্বীকার করতে হবে।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, হিন্দুপক্ষের দাবি, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙে ঔরঙ্গজেব জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদ চত্বরে তার প্রমাণ আজও আছে। মসজিদ লাগোয়া দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে হিন্দু দেব-দেবীর মুখ। আদালতের নির্দেশের আগের সমীক্ষার সময় একটি পাথর খণ্ড উদ্ধার হয়। হিন্দুপক্ষের দাবি সেটি একটি শিবলিঙ্গ।
Advertisement



