• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

নাম বিতর্কে সরগরম দেশের রাজনীতি  ২০১৬-য় কী ছিল সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ?   

দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর – ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ নামকরণ বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত ‘ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। ফলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘ভারত’ নামের ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপান-উতোর। দেশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরোধিতা করে মুখর হয়েছেন বিরোধীরা। যদিও দেশের নাম নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের নাম নিয়ে

দিল্লি, ৬ সেপ্টেম্বর – ‘ইন্ডিয়া’র বদলে ‘ভারত’ নামকরণ বিতর্কে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ভারত ‘ইন্ডিয়া’ নামেই পরিচিত। ফলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্রে ‘ভারত’ নামের ব্যবহার নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপান-উতোর। দেশের নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরোধিতা করে মুখর হয়েছেন বিরোধীরা।

যদিও দেশের নাম নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণ প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের নাম নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। ২০১৬ সালের সেই মামলায় ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি শব্দ সমার্থক বলে জানায় শীর্ষ আদালত।মামলাকারী তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ নয়, সমস্ত ক্ষেত্রে ‘ভারত’ শব্দটি ব্যবহার করতে হবে। যদিও মামলাকারীর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
 
পর্যবেক্ষণে শীর্ষ আদালত জানায়, ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘ভারত’ দু’টি শব্দই সমার্থক। যাঁরা ‘ভারত’ বলছেন তাঁরাও ঠিক, আবার ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটিও ঠিক। সংবিধান ১(১) ধারায় এই একই কথা বলা হয়েছে। সেখানে ‘ইন্ডিয়া’ বা ‘ভারত’-কে একটি যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 
জি -২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা হয়েছে। এদিকে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে কোমর বেঁধে নামছে বিরোধী-জোট ‘ইন্ডিয়া’। এই পরিস্থিতিতে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ না ‘ভারত’ তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।  
এই বিতর্কিত পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যা ইন্ডিয়া, তাই ভারত। আমি সবাইকে এটা পড়তে অনুরোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ভারত শব্দটি উচ্চারণ করলে যে ছবি আমাদের মনে উঠে আসে তাই সন্নিহিত রয়েছে আমাদের সংবিধানে।’ 
এদিকে, নাম পরিবর্তনের চেষ্টা নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ সহ সমস্ত বিরোধী দল। জোটের নাম ‘ভারত’ করা হলে, বিজেপি দেশের নাম পরিবর্তন করবে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নাম পরিবর্তনের চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেসও। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আঘাত বলে টুইট বার্তায় জানান দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এ ব্যাপারে সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে ধরেন তিনি। ‘ভারত বা ইন্ডিয়া, রাজ্যের সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হবে’ উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান। সরব হয়েছেন বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

এরই মধ্যে খবর, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে সমস্ত ভারতীয় প্রতিনিধি এবং আমলাদের পরিচয়পত্রেও বদল আনা হচ্ছে। পরিচয়পত্রেও ‘ইন্ডিয়া’ নামের বদলে ‘ভারত’ শব্দটি বসানো হচ্ছে। এদিকে এই বিতর্কিত বিষয়ে এখনও মুখ খোলেন নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা যখন এই ইস্যুতে সরব, তারই মধ্যে এশিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।  

Advertisement

Advertisement

Advertisement