• facebook
  • twitter
Friday, 13 December, 2024

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা , সর্দিকাশিতে জেরবার আবালবৃদ্ধবনিতা

কর্ণাটক , ১৪ জানুয়ারী — চলতি বছরে শীত পড়তেই সর্দি কাশির সমস্যায় ভুগছেন ছোট থেকে বড়ো সবাই। অনেকের সেই সঙ্গে জ্বর গলাব্যথাযে মতো উপসর্গ রয়েছে। গত দুই বছর ধরে কোভিড আতঙ্ক ভোগ করার পর সবারই বুক দুরুদুরু , কোভিড  নয়তো। ডাক্তারের কাছে গেলেই ফের কোভিড পরীক্ষা, তারপর তার চিকিৎসা। অনেক সময় বড়দের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিস্থিতি

কর্ণাটক , ১৪ জানুয়ারী — চলতি বছরে শীত পড়তেই সর্দি কাশির সমস্যায় ভুগছেন ছোট থেকে বড়ো সবাই। অনেকের সেই সঙ্গে জ্বর গলাব্যথাযে মতো উপসর্গ রয়েছে। গত দুই বছর ধরে কোভিড আতঙ্ক ভোগ করার পর সবারই বুক দুরুদুরু , কোভিড  নয়তো। ডাক্তারের কাছে গেলেই ফের কোভিড পরীক্ষা, তারপর তার চিকিৎসা। অনেক সময় বড়দের ক্ষেত্রে শারীরিক পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তবে  হাঁচি কাশি সর্দি সাধারণ ফ্লুএর ক্ষেত্রেও হলেও দেখা দিতে পারে। সাধারণ ফ্লু হলে প্রাণের ঝুঁকি নেই.। আবার শীতকালেই  ফ্লু-এর সমস্যাও অনেকটা বেড়ে যায়। কীভাবে বোঝা সম্ভব হবে  কোনটা ফ্লু আর কোনটা কোভিডের থাবা? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ব্যাপারে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ব্যাঙ্গালোর হাসপাতালের চিকিৎসক শালিনী যোশীর কথায়, ফ্লু ও কোভিড দুটোই ফুসফুসের রোগ। দুটি রোগের উপসর্গের মধ্যে মিলও রয়েছে। চিকিৎসকের কথায়, দুই রোগেই জ্বর, হাঁচি ও সর্দিকাশির মতো কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয়। তবে এরপরেও কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে যার মারফত দুটি রোগকে স্বতন্ত্র করা সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, অল্পবয়সিদের মধ্যে ফ্লু হলেও তেমন মারাত্মক হয় না। তবে বয়স্করা এতে বেশ কাবু হয়ে পড়ে। অন্যদিকে কোভিড হলে বয়স্ক ও তরুণ সব বয়সের রোগীরাই কাবু হযে পড়েন। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ রোহিত কুমার গর্গের কথায়, কোভিডের অন্যতম প্রধান ভাইরাস হল সার্স কোভ-২। অন্যদিকে ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে হয়।

 কোভিডের একটি বড় লক্ষণ হল খাবারের স্বাদ না পাওয়া। ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীও  কোনও কিছুর গন্ধ পায় না। ফ্লু হলে এমন কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। কোভিডে গায়ে ব্যথা, গলা ব্যথা, ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা দেখা দেয়। একই উপসর্গ ফ্লু-এর ক্ষেত্রেও দেখা দেয়। তবে স্বাদ হারিয়ে ফেলার লক্ষণ শুধু কোভিডেই ফুটে ওঠে। এছাড়া  কোভিডের ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ দুই থেকে ১৪ দিনের মাথায় দেখা দিতে থাকে। অন্যদিকে ফ্লু-এর লক্ষণ দুই থেকে চারদিনেই ফুটে ওঠে।

তবে প্রাথমিকভাবে না কমলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। সর্দিকাশির ক্ষেত্রে আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ ফুটিয়ে সারাদিনে তিন -চারবার পান করলে স্বস্তি মেলে। চায়ে আদা দিয়ে পান করলেও আরাম মেলে।