তিপ্রা মথাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত ত্রিপুরার রাজনীতি , নরম গরমে দাবি আদায়ের পথে প্রদ্যোৎ দেববর্মন 

আগরতলা, ৩১ মার্চ –  দাবি পূরণ না হলে ত্রিপুরা বিধানসভায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী আসনে বসবে তিপ্রা মথা। বিধানসভা নির্বাচনে একই লড়াই করে ১৩টি আসন জিতেছিল ত্রিপুরার বৃহত্তম দলটি। নির্বাচন শেষে এখন এই দলকে ঘিরেই আবর্তিত ত্রিপুরার রাজনীতি। নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর ছিল চড়া , যদিও পরে সেই চড়া সুর নরম হয়। কিন্তু ফের বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছে তারা।  তিপ্রা মথা দলের প্রধান তথা ত্রিপুরা রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ দেববর্মণ জানিয়েছেন, জনজাতিভুক্ত মানুষের অধিকার সংক্রান্ত দাবি পূরণ না হলে রাজ্যে বিরোধী দলের ভূমিকাই পালন করবেন তাঁরা। তবে একই সঙ্গে আবার তিনি জানান ,  এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন তিনি।

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে ৩১টি আসন যেতে বিজেপি। জনজাতির অধিকার রক্ষার দাবি নিয়ে প্রথমবার নির্বাচনে লড়ে  ১৩টি আসন পায়  তিপ্রা মথা। জোট করে ভোটে লড়ে সিপিএম পায় ১১টি ও কংগ্রেস পায় ৩টি আসন। 
ত্রিপুরার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই জনজাতি। এই জনজাতিদের অধিকার রক্ষায় সাংবিধানিক সমাধানের দাবি তুলেছিলেন প্রদ্যোৎ। কয়েকদিন আগে টুইট করে জানান, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে ফোন করে জনজাতির অধিকার রক্ষা নিয়ে  কথাবার্তা বলতে ২৭ মার্চ এক জন মধ্যস্থতাকারীকে নিযুক্ত করার কথা জানিয়েছেন । কিন্তু তারপর তাঁর অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র কথা রাখেনি।
ত্রিপুরার রাজনীতিতে মধ্যে এমন খবর ছড়িয়েছিল যে বিজেপি সরকারের শরিক হতে চলেছে তিপ্রা মথাও। বিজেপির একটি সূত্রেও দাবি করা হয়  কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতর তিপ্রার বিধায়কদের জন্য ফাঁকা রাখা হচ্ছে। কিন্তু সেই গুড়ে বালি ঢাললেন প্রদ্যোৎ নিজেই। দাবি পূরণ না হলে আপাতত ত্রিপুরা বিধানসভায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী আসনে বসবেন বলে জানান তিপ্রা মথা প্রধান ।
এদিকে বৃহস্পতিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং নর্থ ইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের চেয়ারপার্সন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদ্যোৎ। গৌহাটিতে এই বৈঠকের পর আদিবাসীদের দাবিদাওয়া আদায় নিয়ে ফের আশাবাদী তিনি। এক টুইটে তিনি লেখেন, “পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যা সমাধানে আমরা আগ্রহী। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও এটি সময়সাপেক্ষ। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মানুষদের উন্নতির জন্য আমি সমস্ত ত্যাগ করতে রাজি।”