• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

cকণা নয়, সুতোর মতো এনার্জিই পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান, দাবি বিজ্ঞানী অশোক সেনের 

এতদিন পর্যন্ত আমরা পড়ে-জেনে এসেছি পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান কণা। কিন্তু বিজ্ঞানী অশোক সেন এই ধারণা পালটে দাবি করলেন কণা নয় মত এনার্জিই পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান। স্ট্রিং থিয়োরি কবে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রমাণিত হবে, তা এখনই না বলা গেলেও, এই তত্ত্বের অন্যতম প্রধান গবেষক অশোক সেন মনে করেন, এই তত্ত্ব ঠিক পথেই এগোচ্ছে। অশোক মনে করেন, স্ট্রিং

এতদিন পর্যন্ত আমরা পড়ে-জেনে এসেছি পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান কণা। কিন্তু বিজ্ঞানী অশোক সেন এই ধারণা পালটে দাবি করলেন কণা নয় মত এনার্জিই পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান। স্ট্রিং থিয়োরি কবে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রমাণিত হবে, তা এখনই না বলা গেলেও, এই তত্ত্বের অন্যতম প্রধান গবেষক অশোক সেন মনে করেন, এই তত্ত্ব ঠিক পথেই এগোচ্ছে। অশোক মনে করেন, স্ট্রিং থিয়োরির অভ্যন্তরীণ সংযুক্তি (ইন্টারনাল কনসিস্টেন্সি) ঠিকই আছে।

স্ট্রিং থিয়োরি অনুযায়ী, পদার্থের চূড়ান্ত উপাদান কোনও কণা নয়, সুতোর মতো এনার্জির একটা কিছু। তা বিভিন্ন মাত্রায় এনার্জির কাঁপন। এক সময়ে বলা হত, এনার্জি ২৬টা মাত্রায় কাঁপে, এখন ধরা হয় এনার্জি ১০টা মাত্রায় কাঁপে। তার মধ্যে চারটে মাত্রা হল স্পেসটাইম। আলবার্ট আইনস্টাইন প্রমাণ করেন দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা আর সময়— এ সবই এক জিনিসের রকমফের। তা থেকে চারটে মাত্রা এক হয়ে গিয়েছে। বাকি রইল ছয় মাত্রা।

Advertisement

পৃথিবীর তাবড় বিজ্ঞানীরা স্ট্রিং থিয়োরির গবেষণায় মজে আছেন। তার মধ্যে অশোকের স্থান উপরের সারিতে কেন? স্ট্রিং থিয়োরি যখন গাণিতিক জটিলতার মধ্যে পড়ে পাঁচটা তত্ত্ব হয়েছিল, তখন অশোক দেখান, সেই পাঁচটা তত্ত্ব আসলে এক, তাদের মধ্যে কোনও ভেদ নেই।

Advertisement

এই ব্রহ্মাণ্ড কনস্ট্যান্ট বা ধ্রুবকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যেমন, একটা ধ্রুবক হল, গ্র্যাভিটেশনাল কনস্ট্যান্ট (G)। সেই কনস্ট্যান্ট নির্ভর করে দু’টো বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বল কী হবে। এই কনস্ট্যান্ট বা G-কে স্ট্রিং থিয়োরি ব্যাখ্যা করেছে। এ রকম আরও কনস্ট্যান্ট বা ধ্রুবক আছে। সবগুলো ধ্রুবক স্ট্রিং থিয়োরি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। এক সময়ে মনে করা হয়েছিল, সবগুলো ধ্রুবকই হয়তো স্ট্রিং তত্ত্বে ব্যাখ্যা করা যাবে। এখন দেখা গিয়েছে, তা নয়।

Advertisement