ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মশাকে জব্দ করতে এবার ভিয়েতনামের মশারি বিলি

কলকাতা, ৪ সেপ্টেম্বর –   ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মশাকে জব্দ করতে এবার ভিয়েতনামের মশারি বিলি করবে কলকাতা পুরসভা। পুর আধিকারিকরা বলছেন, ওষুধ দেওয়া এমন একরকম মশারি যার গায়ে বসলেই পটাপট মরে যাবে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মশা। এটি এক ধরণের  মেডিকেটেড মশারি। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ঘরের মধ্যে যদি এমন মশারি টাঙানো থাকে তাহলে মশার উৎপাত অনেকটাই কমে যাবে। শুধু মশারির ভেতরে যিনি বা যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই শুধু নয়, মশারির বাইরে থাকলেও মশা কম কামড়াবে।

ভিয়েতনামে একধরনের মেডিকেটেড মশারি তৈরি করা হয় যা সে দেশে ম্যালেরিয়া রুখতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এই মশারির নাম লং-লাস্টিং ইনসেক্টিসাইডাল নেটস । এই ধরনের মশারি ম্যালেরিয়ার কিউলেক্স মশার যম। তবে শুধু কিউলেক্স মশা নয়, ডেঙ্গি এডিস ইজিপ্টাই মশা বা যে কোনও ধরনের বিষাক্ত পোকামাকড় থেকেও রেহাই দেবে এই মশারি। এর গায়ে কীটনাশকের কোটিং করা আছে যা মশার লালায় ঢুকলেই তার মৃত্যু হবে।

এই ধরনের মশারির নেট খুব শক্ত সুতি বা সিন্থেটিক উপাদানে তৈরি। সাদা রঙের মশারি ওজনে হাল্কা এবং মশারির নেটগুলো এমনভাবে তৈরি যাতে ভেতরে যথেষ্ট হাওয়া চলাচল করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন , ঘরে যখন মশারি টাঙাবেন না, তখন নেট গুটিয়ে না  রেখে  ঘরের একপাশে ঝুলিয়ে রাখলে মশা ঘরে কম ঢুকবে।

বর্ষার শুরু থেকেই শহরে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত রোগ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তার জেরে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ অসুস্থ। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ কম। তবে মশা বাহিত রোগ ঠেকাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। জল জমা বন্ধ করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কোনও ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা খুঁজে বের করে দ্রুত তাঁর রক্ত পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এবার ভিয়েতনামি মশারি বিলি শুরু হলে মশার প্রকোপ অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।