‘দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই, দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে’, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর 

Written by SNS June 3, 2023 7:27 pm

বালেশ্বর, ৩ জুন –   ওড়িশার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক।  প্রশ্ন উঠছে রেলের কবচ প্রযুক্তি নিয়ে , যে প্রযুক্তি আনা  হয়েছিল দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যে নামানোর লক্ষ্যে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকালে এই দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতশাহ ছাড়াও এনডিআরএফের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ, আহত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়।  ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তার প্রাথমিক রিপোর্ট, উদ্ধার কাজের বিস্তারিত খবর নেন প্রধানমন্ত্রী। 

শনিবার বিকেল পৌনে ৪ টে নাগাদ তাঁর কপ্টার পৌঁছয় ওড়িশার বালেশ্বরে৷সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।সেখানে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি৷ কথা বলেন উদ্ধারকারীদের সঙ্গে৷  প্রধানমন্ত্রী এদিন বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই। আহতদের চিকিৎসায় কোনও ফাঁক রাখবে না সরকার। খুবই গুরুতর ঘটনা এটা। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’’প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, এই ঘটনা থেকে থেকে আমরা শিক্ষা নিলাম, নাগরিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা পরিকাঠামো আরও উন্নত করব।”  

ঘড়িতে তখন সাড়ে চারটে। ঘটনাস্থল থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়াকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহতদের চিকিৎসায় যাতে কোন ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য ক্যাবিনেট সচিবকে নির্দেশ দেন। এরপর গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন মোদি । দুর্ঘটনাস্থলে পুরো পরিস্থিতি চাক্ষুস করেন। রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু দশ লাখ টাকা এবং গুরুতর আহতদের দুই লাখ টাকা, আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয় রেলের তরফে। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু আরও ২ লাখের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ মোদি বালেশ্বর হাসপাতালে গিয়ে রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের খোঁজখবর নেন,   কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। আহতরা ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।