• facebook
  • twitter
Thursday, 13 February, 2025

ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষায় অনুমতি, আফগান মেয়েদের জন্য শুধু প্রাথমিকের দরজা খুলল তালিবান

কাবুল ,১১ জানুয়ারী — উচ্চশিক্ষায় অনির্দিষ্ট কালের বাধা কাটেনি। তবে প্রাথমিকে পড়াশোনার জন্য শিশুকন্যাদের অনুমতি দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। এ বার থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ পাবে আফগান মেয়েরা। এমনই জানিয়েছে তালিবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক। সম্প্রতি একটি চিঠিতে তালিবান শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ, আফগানিস্তানের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি

কাবুল ,১১ জানুয়ারী — উচ্চশিক্ষায় অনির্দিষ্ট কালের বাধা কাটেনি। তবে প্রাথমিকে পড়াশোনার জন্য শিশুকন্যাদের অনুমতি দিল আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। এ বার থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ পাবে আফগান মেয়েরা। এমনই জানিয়েছে তালিবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক।

সম্প্রতি একটি চিঠিতে তালিবান শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশ, আফগানিস্তানের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার অনুমতি দেওয়া হল মেয়েদের। ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিলেও তাদের ইসলামিক আইন অনুসারে পোশাকবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে তালিবান সরকার।

প্রসঙ্গত, সপ্তাহ কয়েক আগেই আফগান মেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করেছে তালিবান। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা। যদিও ২০২১ সালের অগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং নারীর অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান। তবে বাস্তবে উল্টোটাই ঘটেছে বলে আন্তর্জাতিক মহলের দাবি।

মিডল এবং হাই স্কুলের পর আফগান মেয়েদের জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজাও বন্ধ করেছে তালিবান সরকার। ইসলামের ‘দোহাই’ দিয়ে মেয়েদের আপাদমস্তক ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনও পুরুষ আত্মীয় ছাড়া জনসমক্ষে বেরোনো নিষিদ্ধ বলে জানিয়েছে তারা। এই সব ফতোয়ার কারণে মানবাধিকার সংগঠনগুলির তোপের মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, ব্রিটেন এবং জাপানের মতো জি-৭ গোষ্ঠীর দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা এই ফতোয়া প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানালেও তাতে কাজের কাজ হয়নি। অন্য দিকে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় কোপ মারায় তালিবানের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে তুরস্ক, কাতার এবং পাকিস্তানের মতো মুসলিম দেশগুলিও।