দিল্লি,৭ নভেম্বর — সমাজে পিছিয়ে পড়া উচ্চ শিক্ষিতদের ক্ষমতায়নের এক মাত্র উপায় হলো সংরক্ষন।শিক্ষায় এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিক ভাবে অতিশয় পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণকে বৈধ বলে ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট ।সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছেন যে এতে কোনো বৈষম্য বা ভেদাভেদ তৈরী হচ্ছে না।
আর্থিক ভাবে অতিশয় পিছিয়ে পড়া তথা হতদরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থার পক্ষে বরাবরই ছিল সঙ্ঘ পরিবার। মূলত আরএসএসের চাপেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধান সংশোধন করে হতদরিদ্রদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।সর্বোচ্চ আদালত এদিন জানিয়েছে, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষমতায়নের একটা মাধ্যম হল সংরক্ষণ ব্যবস্থা।হত দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে তা সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও ভাবে আঘাত করে না বা তা পরিপন্থী হতে পারে না। কারণ দেশের সংবিধান সমাজের কাউকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলে না। সবাইকে নিয়ে চলার কথাই বলে। তা ছাড়া আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের যেভাবে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি পদ সংরক্ষিত হবে না। সুতরাং এতে অসুবিধা কিছু নেই। প্রধান বিচারপতি ললিত আগামীকাল অবসর নেবেন। আজ সুপ্রিম কোর্ট যে রায়ই দিত ধরেই নেওয়া হয়েছিল তা হবে ঐতিহাসিক।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



