কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য 

Written by SNS June 17, 2023 2:28 pm

কলকাতা , ১৭ জুন – পঞ্চায়েত ভোটে সারা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার যে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্ট দিয়েছিল,  তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার বন্ধ সুপ্রিম কোর্ট,  সেইজন্য  ‘ই-ফাইলিং’এর মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বৃহস্পতিবার বেঞ্চ রায় দেয় রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্যে ভোট করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, চ্যালেঞ্জ নয়, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই চলা হবে। তিনি বলেছিলেন, ‘‘হাই কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করব।’’ শুক্রবার রাজীব সিনহা জানান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি । যদিও বিরোধী নেতৃত্ব  অনুমান করেছিলেন, হাই কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার। সেই অনুমানই সত্য হল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরের মধ্যেই সব জেলা থেকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলাশাসকরা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন। জানা গেছে, জেলাশাসকদের উদ্দেশে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা শনিবার দুপুর একটার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন।  
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালেই অনলাইনে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিট পিটিশন ফাইল করা হয়েছে। সোমবার সকালে পরিষ্কার হবে, সুপ্রিম কোর্টে কবে এই মামলার শুনানি হবে। সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আবেদনে জানিয়েছে যে, পঞ্চায়েত ভোটে বাংলার সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে ভোট করার মতো পরিস্থিতি নেই। আইনজ্ঞদের মতে, সেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট যদি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চায় তার জন্য আগাম  প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন রাজীব সিনহা।

প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট বলে, স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। কমিশন সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের প্রধান বিচারপতির এজলাসের দ্বারস্থ হয়। তাতে দেখা যায় আগের চেয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে হাই কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ দাখিল করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী তথা ডালু। তাঁদের নোটিস না-পাঠিয়ে একতরফা শুনানির মাধ্যমে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন যাতে হাই কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ পাওয়ার চেষ্টা না করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই  ক্যাভিয়েট।

শোনা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন পৃথকভাবে মামলা দায়ের করবে।