হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ লোপাটের অভিযোগ বন্দির পরিবারের

কলকাতা, ৩০ অক্টোবর – এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গ থেকে বন্দির দেহ নিখোঁজকে কেন্দ্র করে তোলপাড়৷ এই ঘটনায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে খুনের এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ লোপাটের অভিযোগ তুলল ওই বন্দির পরিবার৷ এই নিয়ে শনিবার রাতে ভবানীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত বন্দি বাবলু পোল্লের স্ত্রী নমিতা পোল্লে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও কোনও মামলা রুজু না হলেও হাসপাতালের মর্গ থেকে বন্দির দেহ উধাও হওয়ার ঘটনার তদন্ত চলছে৷

পুলিশ জানায়, প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বাবলুর৷ গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে৷ সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ এরপর হেস্টিংস থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃতু্যর মামলা রুজু হয়৷ পাশাপাশি, ভবানীপুর থানা দেহ নিখোঁজ ঘটনার তদন্ত করছে৷ লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তে ভবানীপুর থানার পুলিশ রবিবার কয়েকজন পুলিশকর্মী এবং অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে৷ তাঁরা সবাই এসএসকেএম হাসপাতালের পুলিশ ফাঁডি়তে কর্মরত৷ মূলত কখন বাবলুর দেহ হাসপাতালে আনা হয়েছিল, কী কী পদ্ধতি মেনে মর্গে দেহ রাখা হয়েছিল, সব কিছুই তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ সোমবারও কয়েক জন পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা৷ তবে প্রেসিডেন্সি জেল এবং হাসপাতালের কাছে যা চাওয়া হয়, তদন্তে সেসব রবিবার বিকেল পর্যন্ত জমা পডে়নি বলেই সূত্রের খবর৷

হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলু পোল্লে বাডি়ওয়ালাকে অ্যাসিড ছুডে় খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১১ বছরেরও বেশি সময় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন৷  গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷ তাঁর দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়৷ কিন্ত্ত তিন দিন পরে সুরতহাল করার সময় জানা যায়, মর্গে বাবলুর দেহ নেই৷ এরপরেই হাসপাতালের গাফিলতি নিয়ে অভিযোগ করে মৃতের পরিবার৷ তদন্তে নেমে ভবানীপুর থানার পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মর্গের কর্মীদের গাফিলতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে৷