সৎ আর দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে দেশবাসীকে : মোদি

মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা কী চান? তাঁরা কি একটা সৎ, স্বচ্ছ, কর্মক্ষম সরকার চান? নাকি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে থাকা একটা সরকার? যে সরকার উন্নয়নের জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প, নীতিনিষ্ঠ তাদের আনবেন? নাকি নীতিহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকেই পছন্দ করবেন। এই বিষয়গুলি ভােটদানের আগে ঠিক করে নিতে হবে মানুষকেই।

Written by SNS April 7, 2019 7:17 am

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

সুন্দরগড় (ওড়িশা) ও দিল্লি – মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা কী চান? তাঁরা কি একটা সৎ, স্বচ্ছ, কর্মক্ষম সরকার চান? নাকি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে থাকা একটা সরকার? যে সরকার উন্নয়নের জন্য দৃঢ়সঙ্কল্প, নীতিনিষ্ঠ তাদের আনবেন? নাকি নীতিহীন দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকেই পছন্দ করবেন। এই বিষয়গুলি ভােটদানের আগে ঠিক করে নিতে হবে মানুষকেই। শনিবার ওড়িশার সুন্দরগড়ে এই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। উপজাতি অধ্যুষিত সুন্দরগড়ে একটি নির্বাচনী সভায় তিনি বলেছেন, আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, এবার ওড়িশায় সর্বত্র পদ্ম ফুটবে। সবচেয়ে বেশি পদ্ম ফুটবে এই রাজ্যেই। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এবারও বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে চলেছে। আর সেই সরকারে এবার ওডিশার অবদান থাকবে সবচেয়ে বেশি।

ওডিশার বিজু জনতা দল সরকারকে আক্রমণ করে মােদি বলেন, রাজ্যবাসীর প্রতি বিজেডি সরকারের মনােভাব যথার্থ নয়। ২০১৯ সালের লােকসভা নির্বাচন রাজ্যবাসীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, এর সঙ্গে ওড়িশার ভবিষ্যৎও জড়িয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য এদিনই ছিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মােদি বলেন, আমাদের দল গড়ে উঠেছে কর্মীদের ঘামের মাধ্যমে। কোনও রাজাধিরাজের মতাে আমরা ক্ষমতায় এসে বসিনি। বছরের পর বছর ধরে আমাদের দলের সভ্য, সদস্য এবং সমর্থকরা ঘাম ঝরিয়ে বিজেপিকে সর্বভারতীয় দলে পরিণত করেছে। তাঁর দাবি, দেশে গণতন্ত্র রক্ষার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সজাগ এবং সতর্ক থেকেছে বিজেপিই। বস্তুত, বিজেপিই হল বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দল। জরুরি অবস্থার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সারা দেশে দলের লাখাে সদস্য-সমর্থক কারাগারে ছিলেন। উল্লেখ্য, ওড়িশায় লােকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই হবে সে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচ নির্বাচন।

এদিকে দিল্লিতে দলের প্রতিষ্ঠাদিবসের অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মােদি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে বিজেপি যে নিরলসভাবে উন্নয়নের কাজ করেছে, তাতে তারা সমাজের সর্বক্ষেত্রে পৌঁছে গিয়েছে। দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাদিবসে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, দলের সমস্ত স্তরের কর্মী দিন-রাত এক করে লােকসভা ভােটে বিজেপি ও তার সহযােগী দলগুলিকে (এনডিএ) আবারও জিতিয়ে ক্ষমতায় বসানাের কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে একটি টুইট করে তিনি বলেন, লােকসভা ভােটে মানুষের আশীর্বাদ তাঁদের সঙ্গেই থাকবে। বিজেপি’র জন্মই হয়েছে মানুষের জন্য কাজ করার জন্য। আগামী দিনে দেশকে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরার জন্য দ্বিতীয়বারের জন্যও বিজেপি ক্ষমতায় আসছে বলে মন্তব্য করেছেন মােদি। দেশাত্মবােধক ভাবধারা এবং গণতন্ত্রের প্রতি নিরলস দায়বদ্ধতাই বিজেপি’কে সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে। গত পাঁচ বছরে সারা দেশে যে পরিমাণ উন্নয়নের কাজ হয়েছে এবং যে গতিতে হয়েছে, তাতেই দেশের সর্বপ্রান্তে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে দল। এই দায়বদ্ধতার সর্বশেষ উদাহরণ হল সারা দেশে বিজেপি’র কার্যকর্তাদের ছৱিয়ে পড়া। মানুষের কাছে গিয়ে, তাদের সমস্যা আলােচনা করে বিজেপির কর্মকর্তা এবং সদস্যরা দলকে লােকসভা ভােটের পরে নতুন উচ্চতায় স্থাপন করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস। এদিন মহারাষ্ট্রেও একটি জনসভা করেছেন নরেন্দ্র মােদি। এদিকে দলের সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, দলের সমস্ত সদস্য নরেন্দ্র মােদির নেতৃত্বে নতুন ভারত তৈরির কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দলের দুই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং লালকৃষ্ণ আদবানির বক্তৃতার ক্লিপিংসও পােস্ট করেছেন।