পেনশন প্রকল্পের নিয়ম পরিবর্তন করতে পারে কেন্দ্র!

Written by SNS October 19, 2023 10:23 am

কলকাতা:- নতুন পেনশন প্রকল্পের নিয়মে কিছুটা হেরফের করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে অবহিত দুই আধিকারিক। সূত্রের খবর, এমন একটি কাঠামো তৈরি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, যে কাঠামোর আওতায় সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের কর্মজীবনের শেষে যে বেতন পেয়েছেন, পেনশন হিসেবে নিশ্চিতভাবে সেটার ৪০ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশ পাবেন। আপাতত নতুন পেনশন প্রকল্পে সেরকম কোনো বিষয় নির্ধারণ করা হয়নি। আর সংশোধিত পেনশন প্রকল্পে নিশ্চিতভাবে কোনও রিটার্নের অঙ্ক নির্ধারণ করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখছে উচ্চপর্যায়ের কমিটি। সূত্রের খবর, পুরনো পেনশন স্কিমের আওতায় কোনও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী নিজের কর্মজীবনের শেষ বেতন হিসেবে যে টাকা পেয়েছেন, সেটার ৫০ শতাংশ পেনশন হিসেবে পান। সেটার কোনও হেরফের হয় না। আর কর্মচারীদেরও কোনও অর্থ দিতে হয় না। সেখানে নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে এরকম কোনও নির্দিষ্ট পেনশনের অঙ্ক নেই। কত টাকা পেনশন মিলবে, তা পুরোপুরি বাজারের উপর নির্ভর করে থাকে। সেটা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন কর্মচারীদের একাংশ ও বিরোধী নেতারা। তাঁরা পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে একাধিক বিরোধী-শাসিত রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে পুরনো পেনশন প্রকল্প। জানা যাচ্ছে, আপাতত নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় বাজারের উপর নির্ভর করে যে কত শতাংশ রিটার্ন মিলবে, সংশোধিত পেনশন প্রকল্পেও সেটাই হবে। নতুন পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের ১০ শতাংশ দিতে হয়। সরকার দেয় ১৪ শতাংশ। পুরনো পেনশনের প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও বিষয় নেই। সেই বিষয়টি নিয়েও সন্তুষ্ট নন কর্মচারীদের একাংশ। তবে সংশোধিত পেনশন প্রকল্পে কর্মচারীদের কোনও ‘কন্ট্রিবিউশন’ দিতে হবে না, এমন হবে না। কত শতাংশ দিতে হবে, সেটা হেরফের করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত। সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনছে না, তাতে সমর্থন জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা পুরনো পেনশন প্রকল্পকে আর্থিক বোঝা হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। সূত্রের খবর, জানা গিয়েছে, ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (এসবিআই) মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষের বক্তব্য, আর্থিক দিক থেকে পুরনো পেনশন প্রকল্প একেবারেই স্থিতিশীল নয়। তাতে সরকারের কোষাগারের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে।