বিজেপির ইস্তেহার নয় ‘মাফিপত্র’ প্রকাশ করা উচিত : কংগ্রেস

বিজেপির ইস্তেহারে বেকারী দুরীকরণের কোনও কথা নেই বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস। সােমবার কংগ্রেস দলের মুখপাত্র রনদীপ সুর্যেওয়ালা বলেন, বিজেপির ইস্তেহারে কর্ম সংস্থানের কোনও উল্লেখ স্থান পায়নি। তিনি বিজেপির সংকল্প পত্রকে এক ‘মিথ্যাপত্র’ বলে কটাক্ষ করেছেন।

Written by SNS April 9, 2019 9:06 am

বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশে শীর্ষস্থানীয় নেতারা (Photo: IANS)

দিল্লি – বিজেপির ইস্তেহারে বেকারী দুরীকরণের কোনও কথা নেই বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস। সােমবার কংগ্রেস দলের মুখপাত্র রনদীপ সুর্যেওয়ালা বলেন, বিজেপির ইস্তেহারে কর্ম সংস্থানের কোনও উল্লেখ স্থান পায়নি। তিনি বিজেপির সংকল্প পত্রকে এক ‘মিথ্যাপত্র’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ‘এক জাতি এক কর’ কিন্তু বাস্তবে ‘৯০০’ ক্ষেত্রে ধার্য করেছে। এত করেও বিজেপি সরকার এক কোটি টাকা কম রাজস্ব আয় করেছে। বিজেপি সরকারের অ্যাঞ্জেল কর ব্যবস্থা ৭০ শতাংশ নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে চরম বাধা হিসেবে দেথা দেয়।

কংগ্রেসের সদর দফতরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজেপি প্রতিটি নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ২০১৪ নির্বাচনের সময়ে। এছাড়া প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল প্রতি বছর দুই কোটি বেকারের চাকরির। কৃষক ও মহিলাদের আয় দ্বিগুণ করারও প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপি সরকারের। কিন্তু সেগুলির কোনওটাই বিগত পাঁচ বছরে নরেন্দ্র মােদি সরকার পূরণ করেনি। দেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। দুর্নীতির প্রশ্নে তিনি বিজেপির সমালােচনা করে বলেন, বিজেপি দুর্নীতি মুক্ত সরকারের কথা ঘােষণা করলেও বিগত পাঁচ বছরে লােকপাল নিয়ােগ করেনি। ১৪.৫ লাখ আরটিআই অনুরােধের এখনও জবাব দেয়নি। এক বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালেই ৪০ শতাংশ আরটিআই বাতিল করা হয়েছে। মানুষের তথ্য জানার অধিকারকে অপমানিত করা হয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপি ‘চৌকিদারির’ প্রতিশ্রুতি দিলেও পাঁচ বছরে নিজেকে ‘চোর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল বিজেপির ইস্তেহারকে বিগত নির্বাচনের কপি বলে উশ্লেখ করেছেন। নতুন ইস্তেহারে তারা প্রকল্প রূপায়ণের কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেনি। তিনি বলেন, বিজেপি’র উচিত ইস্তেহারের পরিবর্তে ‘মাফিনামা’ প্রকাশ করা। তিনি বলেন, কংগ্রেসের পক্ষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের ভাবনাকে দলের ইস্তেহারে স্থান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিজেপি তাদের একমাত্র নেতা নরেন্দ্র মােদির কথাকেই গুরুত্ব দিয়েছে। বিজেপির ইস্তেহারে কৃষকদের আয় এক বছরে দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কৃষকদের আত্নহত্যার হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করা হবে তার কোনও দিশা নেই বিজেপি ইস্তেহারে বলে মন্তব্য করেছেন, সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমী পার্টি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপির ইত্তেহারকে ‘নতুন ভাওতাবাজি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তারা ২০১৪ সালের প্রতিশ্রুতিগুলির পরিণাম কি হল তা জানানাের প্রয়ােজন মনে করেননি। তিনি বলেন নােটবন্দি নিয়ে মােদি ও শাহ’র সদুত্তর দেওয়ার মতাে কিছুই নেই । বছরে দুই কোটি কর্ম সংস্থানেরই বা কি হল? কৃষকদের দুর্দশারই বা কারণ কি? তিনি প্রশ্ন করেন। কেজরীয়াল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দলের ইস্তেহার তৈরিতে কংগ্রেসের পথই অনুসরণ করেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মােদিকে শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেই নয় রাজনীতি থেকেও সরানাে জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে মানুষ ভােটের মাধ্যমে নরেন্দ্র মােদির মুখ এমনভাবে বন্ধ করে দেবে যে তিনি আর মিথ্যা কথা বলতে পারবেন না। দেশের স্বার্থেই নরেন্দ্র মােদিকে রাজনীতি থেকে সরানাে উচিত।