ভোটের আগেই উত্তাপ বীরভূম

ভােট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বীরভূম। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিজেপি এবং তৃণমূল। কেউই একচিলতে রাজনৈতিক জমি ছাড়তে নারাজ। এরই মাঝে সংঘর্ষের মুখে পড়ছে দুই রাজনৈতিক দল।

Written by SNS Birbhum | April 28, 2019 12:07 pm

ভোটের জন্য প্রচার চালাচ্ছে দুই দলের প্রার্থীরা (Photo: IANS)

ভােট গ্রহণের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বীরভূম। প্রধান দুই প্রতিপক্ষ বিজেপি এবং তৃণমূল। কেউই একচিলতে রাজনৈতিক জমি ছাড়তে নারাজ। এরই মাঝে সংঘর্ষের মুখে পড়ছে দুই রাজনৈতিক দল।

দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত বীরভূমের ইলামবাজারে বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযােগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, এলাকায় প্রথম থেকেই তৃণমূল তাদের অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনতে মরিয়া।

গত তিনদিন আগে এখানে প্রধানমন্ত্রী একটি জনসভা করেন। এই সভায় মানুষের উপস্থিতির হার ভাবিয়ে তুলেছে তৃণমূলকে। শনিবার বিজেপি সুত্রে জানা গেল, এদিন সকালে তৃণমূলের একটি মিছিল থেকে আচমকা হামলা চালানাে হয় ওই বিজেপি কার্যালয়ে। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়, চেয়ার, টেবিল, টিভি এমনকি মােটর বাইক। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। প্রাথমিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিলেও পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানাে হয়। এলাকায় টহল দিচ্ছে তারা।

অন্যদিকে শুক্রবার রাতে সাঁইথিয়া ব্লকে বৈসুণ্ডা গ্রামে বিজেপির একটি পথসভায় অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল বলে বিজেপির অভিযােগ। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে গেলে, শুরু হয় সংঘর্ষ। উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়ে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি বলে জানা গেছে। তৃণমূল অবশ্য পালটা অভিযােগ করেছে, বিজেপিই তাদের উপর প্রথম হামলা চালায়।

এদিকে সাঁইথিয়া ব্লকের হরিরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ যদিও তার কাছ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি।

সাঁইথিয়া  ব্লকেরই হাততারা গ্রামের দাস পাড়ায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বােমাবাজির অভিযােগ ওঠে তৃণমূলের রুিদ্ধে। এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি থেকে তাজা বােমা উদ্ধার হয়েছে। বীরভূম জেলা বিজেপির তরফে দাবি এসব ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টে বিজেপি কর্মীদের টাকা বিলির অভিযােগ, গাঁজার মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত শুক্রবার বােলপুর থেকে এক বিজেপি কর্মীকে এলাকায় ভােটের জন্য টাকা বিলির অভিযােগে আটক করে পুলিশ। ওই টাকা বিজেপি নেতার নয় বলে পুলিশের কাছে দাবি করা হয়। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয় বিজেপি কর্মীটির। এর জেরে ওই কর্মীকে গাঁজা মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযােগ। পুলিশ ওই কর্মীকে আটক করলেও এখনও গ্রেফতার করেনি।

এই ঘটনার পর পুলিশের হুমকির ভিডিও নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি বলে খবর। বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে পুলিশ আমাদের কর্মীদের ফাঁসানাের চেষ্টা করছে। জেলায় আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, আমাদের কেউ বিজেপির উপর হামলা করছে না। ওরা নিজেরাই ঝামেলা করছে আর কমিশনের কাছে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত সাত দফা নির্বাচনের চতুর্থ দফায় ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভােট। বীরভূমের দুটি কেন্দ্র বােলপুর ও বীরভূমের ভােটগ্রহণ হবে এদিন।