ডি এ-র দাবিতে শুক্রবার ধর্মঘট , ধর্মঘট ব্যর্থ করতে কড়া নির্দেশ নবান্নর 

কলকাতা, ৯ মার্চ – বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কিন্তু ওই দিন রাজ্যের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজকর্ম অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রাখতে ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নবান্ন। বৃহস্পতিবার অর্থ দফতরের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মচারী ছুটি নিতে পারবেন না। স্কুল-কলেজ-সহ যাবতীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ওই দিন পূর্ণ সময় খোলা থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ। আজ তাঁদের অবস্থান ৪২ তম দিনে পড়ল। ২৮ তম দিনে পড়ল অনশন। ইতিপূর্বেই সরকারি কর্মচারীরা ‘পেনডাউন’-এর ডাক দিয়েছিলেন। এবার আরও সুর চড়াচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আগামিকাল রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসগুলিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে । জরুরি পরিষেবা ছাড়া  সরকারি কর্মচারীরা কোনও কাজ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে সংগঠনগুলি।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন, বর্তমানে যা আর্থিক পরিস্থিতি তাতে এর বেশি মহার্ঘভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আবার আরও একধাপ এগিয়ে কড়া ভাষায় বলে দিয়েছেন, না পোষালে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আর এমন এক আবহে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের এই আন্দোলন ক্রমেই শাসকের জন্য অস্বস্তিকর বাতাবরণ তৈরি করেছে। বাম সমর্থিত সংগঠনগুলি শুরু থেকেই মহার্ঘভাতার দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের এই আন্দোলনের পাশে রয়েছে। পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস শিবিরকেও। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।


নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে কর্মচারীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। কেউ হাসপাতালে ভর্তি বা কোনও কর্মচারী যদি আগাম ছুটিতে থাকেন, তবে তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে। কিন্তু যদি  কেউ বিনা অনুমতিতে শুক্রবার অনুপস্থিত থাকেন, তবে তাঁর বেতন কাটা যাবে তো হবেই, কর্মজীবনের মেয়াদও এক দিন কমবে। তা ছাড়া প্রতিটি দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, কোনও কর্মচারী গরহাজির থাকলে তাঁকে শো-কজ় করতে হবে। প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারলে তবেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ যখন কর্মবিরতির পথে হেঁটেছিল, তখনও এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল নবান্ন।