কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ১৬২তম রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কবি গুরুকে স্মরণ 

কলকাতা,৯ মে —  ১২৬৮ সালের ২৫ শে বৈশাখের পূণ্য লগ্নে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আর আজ সেই শুভদিন ২৫ বৈশাখ।বাঙালির প্রিয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজ জন্মদিন। কেবল বাঙালি নয়, আপামর ভারতবাসীকে যিনি বারবার মুগ্ধ করেছেন তাঁর লেখনীতে, গানে, কবিতায়, দর্শনে, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ কবির ১৬২তম জন্মজয়ন্তী। আজ দিনভর তাঁরই লেখা গান, গল্পে, কবিতায় কবি-স্মরণ।  

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী  রবীন্দ্রনাথ ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী,, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, সংগীতশিল্পী ও দার্শনিক। মহান লেখকদের মধ্যে,তিনি শেক্সপিয়ার, রিলিজিও  মেডিসি এবং কোরিওলানাসের কাজগুলিতে গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন,যদিও তার পরিবার আশা করেছিল যে তিনি আইন পেশার সাথে যুক্ত হবেন ।
ওনার অনেক অর্জনের মধ্যে একটি হল শান্তি নিকেতন নামে তার নিজস্ব শিক্ষাগত কাঠামো তৈরি  যা প্রাথমিকভাবে ব্যবহারিক ক্রিয়াকলাপের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
 উনিশ শতকের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ ,  উদার মানবতাবাদী চিন্তাভাবনা এবং আশাবাদ দ্বারা তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ঠাকুর বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতকে নতুন রূপ দিয়েছেন। ঠাকুরই প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা উদ্ধৃতি গুলো হলো —
 
>  আছে দু:খ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি,তবু আনন্দ, 
     তবু অনন্ত জাগে শুভ রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।
 
> যে ধর্মের নামে বিদ্বেষ সঞ্চিত করে, ঈশ্বরের অর্ঘ্য হতে সে হয় বঞ্চিত।
   শুভ রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।
 
> আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায় – একটি হচ্ছে জ্ঞান, অন্যটি হচ্ছে প্রেম
   শুভ রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা
 
ওনার লেখা রবীন্দ্র সংগীত যেন বাঙালির রন্ধ্রে রন্ধ্রে। যে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ওনাকে সারণ করা হয় ওনার গানের মাধ্যমে। ওনার লেখা গানেরজনপ্রিয় কয়েকটি গান হল –
 
১)  যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে 
      তবে একলা চলো রে 
 ২)  এসো এসো হে বৈশাখ এসো 
 ৩) আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে 
      এ জীবন পূর্ণ কারো 
৪ ) আমি চিনি গো চিনি তোমারে 
     ওগো বিদেশিনী