• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

‘ভোটার জোড়ো’ প্রচারে কিচেনেই ঢুকে পড়লেন প্রিয়াঙ্কা 

 বেঙ্গালুরু, ২৬ এপ্রিল– রাহুলের দিল্লি ফিরতেই প্রিয়াঙ্কার ব্যাটিং শুরু। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। গত শনি ও রবিবার চার জায়গায় সভা করেছেন রাহুল গান্ধি । করেছেন রোড শো। তিনি দিল্লি ফিরতেই প্রচারে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা। দিন কয়েকের মধ্যে ময়দানে প্রচারে যাবেন সোনিয়া গান্ধিও ।বুধবার প্রিয়ঙ্কা প্রচার করেন মহিশূরে। সকালে প্রচার শুরুর আগে

 বেঙ্গালুরু, ২৬ এপ্রিল– রাহুলের দিল্লি ফিরতেই প্রিয়াঙ্কার ব্যাটিং শুরু। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। গত শনি ও রবিবার চার জায়গায় সভা করেছেন রাহুল গান্ধি । করেছেন রোড শো। তিনি দিল্লি ফিরতেই প্রচারে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা। দিন কয়েকের মধ্যে ময়দানে প্রচারে যাবেন সোনিয়া গান্ধিও ।বুধবার প্রিয়ঙ্কা প্রচার করেন মহিশূরে। সকালে প্রচার শুরুর আগে তাঁর ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা হয়েছিল শহরের সবচেয়ে পুরনো হোটেল মাইলারিতে। দক্ষিণী, বিশেষ করে কন্নড়ি খাবারের জন্য বিখ্যাত এই হোটেলে দিনভর ভিড় লেগেই থাকে। প্রিয়ঙ্কা যাওয়ায় স্বভাবতই হোটেলের বাইরেও ভিড় জমে যায়।

প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার, কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদর রণদীপ সিং সুরজেওয়াল প্রমুখ। ব্রেকফাস্টে ছিল ইডলি ও দোসা। প্রিয়ঙ্কা এসেছেন জেনে চলে আসেন হোটেলের মালিক। তিনি কংগ্রেস নেত্রীর টেবিলের কাছাকাছি অপেক্ষা করছিলেন।

ব্রেকফাস্ট শেষে সৌজন্য বিনিময়ের পর প্রিয়ঙ্কা তাঁকে বলেন, ‘চমৎকার খেলাম। একটু দেখতে চাই কীভাবে এত ভাল ইডলি, দোসা আপনারা বানান।’ কালক্ষেপ না করে কংগ্রেস নেত্রীকে কিচেনে নিয়ে যান হোটেল মালিক। এগিয়ে দেন যাবতীয় আয়োজন। বলেন, ‘আপনি ট্রাই করুন। মোটেই কঠিন কিছু নয়।’ কংগ্রেস নেত্রী চটপট দুটি দোসা বানিয়ে চমকে দেন বাকিদের। কিছুক্ষণ কথা বলেন কিচেনের কর্মীদের সঙ্গে। সেলফি তোলেন।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, বুধবারের এই কিচেন সফরই নয়, এভাবেই দলের হয়ে জনসংযোগের কাজ করছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিশের কমান্ডো বরাদ্দ হয়েছে। নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যেই যতটা সম্ভব কর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন কংগ্রেস নেত্রী।

আসলে এটাই প্রচারে গান্ধি পরিবারের নিজস্ব স্টাইল বলা চলে যা চালু করেছিলেন প্রিয়ঙ্কার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী। আর প্রিয়ঙ্কাকে তো দলের অনেকেই দ্বিতীয় ইন্দিরা বলে থাকেন। কথা বলার ভঙ্গিমা, হাঁটাচলা অবিকল ইন্দিরার মতোই।