তৃণমূলেই যোগ দিলেন কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস

ঘাটাল, ২৯ মে – শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই যোগ দিলেন কংগ্রেসের একমাত্র বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। সাগরদিঘি উপনির্বাচন তৃণমূলের অন্দরে যে ক্ষতের সৃষ্টি করেছিল, তাতে প্রলেপ পড়ল। এদিন সকালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাটালে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছিল। সেই সভায় বায়রন বিশ্বাস আসেন৷ নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেকের উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দেন৷

২ মার্চ সাগরদিঘি ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। তারপর তিন মাস কাটতে না কাটতেই বায়রন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিলেন। তাঁর শপথগ্রহণ নিয়েও অনেক ঘটনা ঘটে। বায়রন শপথ নিয়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করে অনেক কথাও বলেন। ফল ঘোষণার দিন তিনি এক সংবাদ মাধ্যমে বায়রন বলেছিলেন, ‘ আমায় তৃণমূল কিনতে পারবে না , তৃণমূলকে আমি কিনে নেব।’ এদিন আবার তিনিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন।

রাজনীতিতে দলবদল এখন বহু ব্যবহারে এক স্বাভাবিক ঘটনায় এসে দাঁড়িয়েছে। একুশের ভোটের পর বিজেপির আটজন বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু বাইরনের জয় ছিল এক অনন্য ঘটনা। কারণ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর জয় বাংলার রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।


প্রশ্ন উঠছে, বায়রনের এই দলবদল কি বাম-কংগ্রেস জোটে ধাক্কা নয় ? বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বায়রন সাগরদিঘির মানুষের মতামতকে অবজ্ঞা করেছেন। মানুষের মতামতকে অগ্রাহ্য করেছেন।  ফলে মানুষের বিশ্বাস হারালেন বায়রন।