• facebook
  • twitter
Sunday, 8 December, 2024

বর্নভিটার সঙ্গে ওবেসিটি-ডায়াবেটিস, ক্যানসারের সতর্কতা হু-এর

‘দেখো আমি বাড়ছে মাম্মি’ এই অ্যাডটি কে দেখেনি বলুন তো ? আর তাই দেখে ঘরে-ঘরে বোর্নভিটার ধুম। কিন্তু জানেন কি, এই বোর্নভিটা খেয়ে আপনার বাচ্চার কতটা লাভ-ক্ষতি হচ্ছে?  সে দুধের সঙ্গে হোক বা গরম জলে গুলি দিলেই চকোলেটের স্বাদ পেয়ে বাচ্চাও খেয়ে নিল। আর আপনি বিজ্ঞাপনে দেখলেন এই হেলথ ড্রিঙ্ক খেলে পুষ্টি-বৃদ্ধি হবে বাচ্চারা।চিকিৎসক ও

‘দেখো আমি বাড়ছে মাম্মি’ এই অ্যাডটি কে দেখেনি বলুন তো ? আর তাই দেখে ঘরে-ঘরে বোর্নভিটার ধুম। কিন্তু জানেন কি, এই বোর্নভিটা খেয়ে আপনার বাচ্চার কতটা লাভ-ক্ষতি হচ্ছে? 

সে দুধের সঙ্গে হোক বা গরম জলে গুলি দিলেই চকোলেটের স্বাদ পেয়ে বাচ্চাও খেয়ে নিল। আর আপনি বিজ্ঞাপনে দেখলেন এই হেলথ ড্রিঙ্ক খেলে পুষ্টি-বৃদ্ধি হবে বাচ্চারা।চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, বিজ্ঞাপনী চমকে ভুলে বাবা-মায়েরা যথেচ্ছ হেলথ ড্রিঙ্ক খাওয়াচ্ছেন বাচ্চাদের। এইসব হেলথ ড্রিঙ্কে কতটা চিনি থাকে এবং তা বাচ্চার শরীরের জন্য কতটা মারাত্মক সে ধারণাও নেই বেশিরভাগেরই।

বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন অবধি এই কারণের জন্যই হেলথ ড্রিঙ্কের বিজ্ঞাপন থেকে সরে এসেছেন। গবেষণা বলছে, বর্নভিটার মতো হেলথ ড্রিঙ্ক চিনির ভাণ্ডার। এতে ভিটামিন, মিনারেলস থাকে ঠিকই কিন্তু সুগার কনটেন্ট বা চিনির পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা বাচ্চার শরীরের জন্য বিষের সমতুল্য। প্রতি চামচে এত পরিমাণ চিনি ঢোকে বাচ্চার শরীরে যা পরবর্তী সময়ে নানারকম অসুখের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

এখনকার বাচ্চাদের ছোট থেকেই ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, লিভারের অসুখ দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগই ভুগছে ওবেসিটিতে। তার অন্যতম কারণ বাজারচলতি হেলথ ড্রিঙ্ক। 

পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বর্নভিটার ২ চামচ মানে ২০ গ্রামে সাড়ে সাতগ্রামেরও বেশি চিনি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে চিনি থাকে ৭৩.১ গ্রাম। তার মানেই ভেবে দেখুন, প্রতিদিন যদি দু’বার করেও বর্নভিটা খায় বাচ্চা, তাহলে কতটা চিনি ঢুকছে শরীরে। এদিকে ডাক্তাররা বলছেন, ৭ থেকে ১০ বছর বয়সি বাচ্চাদের ২৪ গ্রামের (৬ চামচ মতো) বেশি চিনি খাওয়াই উচিত নয়। ৭ বছরের কম হলে ১৯ গ্রামের বেশি নয়, আর পাঁচ বছরের নীচের বাচ্চাদের চিনি খাওয়াই বিপজ্জনক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন বলছেন, বর্নভিটার প্যাকেটেই লেখা থাকে প্রতি ১০০ গ্রামে চিনির মাত্রা ৭৩.১ গ্রাম। এটা খেয়াল করেন না অভিভাবকরা। গুঁড়ো চিনি এমনভাবে মেশানো থাকে এইজাতীয় মল্ট হেলথ ড্রিঙ্কে যে বোঝা সম্ভব নয়। নিয়মিত এই ধরনের হেলথ ড্রিঙ্ক খেতে শুরু করলে ওবেসিটি তো বটেই, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ, ডায়াবেটিস, ক্রনিক রেসপিরেটারি ডিজিজ, ক্যানসারের মতো নন-কমিউনিকেবল রোগের ঝুঁকি বাড়বে বাচ্চাদের।