সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিস পদত্যাগী বিজেপি সাংসদদের 

Written by SNS December 8, 2023 4:21 pm

দিল্লি, ৮ ডিসেম্বর – সদ্য সমাপ্ত তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে যে ১০ সাংসদ বিজেপির টিকিটে দাঁড়ান এবং জয়ী হন, তাঁরা চলতি সপ্তাহেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এবার তাঁদেরই সরকারি বাংলো ছাড়তে বলা হল। তাঁদের এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে বাংলো খালি করে দেওয়ার জন্য। বিধানসভা নির্বাচনে জিতে আসার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। দুদিন পরই সংসদের সচিবালয়ের নোটিস পেলেন ১০ বিজেপি সাংসদ। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সচিবালয়।

চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবারই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, প্রহ্লাদ পটেল সহ বিজেপির ৯ সাংসদের ইস্তফা গ্রহণ করেন। লোকসভা থেকে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও ইস্তফা দিয়েছেন মধ্য প্রদেশের সাংসদ রাকেশ সিং, উদয় প্রতাপ সিং, রীতি পাঠক। রাজস্থানের সাংসদ দিয়া কুমারী ও রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও ইস্তফা দিয়েছেন। ছত্তিসগড়ের সাংসদ গোমতী সাই ও অরুণ সাও-ও লোকসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন। রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কিরোরি লাল মীনা।

বিধানসভা নির্বাচনে পালে হাওয়া টানতে চার রাজ্যে ২১ জন সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেই ২১ জনের মধ্যে ১২ জন সাংসদ জিতে এসেছেন। সেই ১২ জনের মধ্যে ১০ জন বুধবার লোকসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৯ জন লোকসভার সাংসদ। এবং একজন রাজ্যসভার সাংসদ। এঁদের মধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও রয়েছেন।
যে ২১ জন সাংসদকে বিজেপি দাঁড় করিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে রাজস্থানের ৩ জন, মধ্যপ্রদেশের ২ জন এবং ছত্তিশগড়ের একজন সাংসদ পরাস্ত হয়েছেন। ভোটে হেরে গিয়েছেন তেলেঙ্গানার ৩ সাংসদই। তবে বাকি যাঁরা জিতে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দলের তরফেই এই সাংসদদের ইস্তফা দিতে বলা হয়। এদের মধ্যে ১০ জন ইস্তফা দেন। তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণও করা হয়েছে।
ইস্তফাপত্র গ্রহণের পরই ৩০ দিনের মধ্যে তাঁদের বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের এই দ্রুততায় অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আসলে কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ এবং তাঁর বাংলো কেড়ে নেওয়া নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। অনেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন। সম্ভবত সেকারণেই বিজেপি সাংসদদের বাংলো ছাড়ার ক্ষেত্রেও একই রকম দ্রুততা দেখানো হচ্ছে। কেন্দ্র বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, নিয়ম সবার জন্য সমান।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরামর্শে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কৃষি মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন অর্জুন মুণ্ডাকে। আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রীর হাতেই এবার কৃষি মন্ত্রকও থাকবে। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকে জলশক্তি মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কৃষি প্রতিমন্ত্রী শোভা করইণদালজে-কে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়াকে আদিবাসী মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।