নাইপেইদিও, ৪ সেপ্টেম্বর– মিয়ানমারের হাব মিয়াওদি সীমান্তে বোমা হামলায় মৃত্যু হল ৫ সরকারি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার । এছাড়া, আরও ১১ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হন।
সোমবার মিয়ানমার সেনাবাহিনীর একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় মিয়ানমারের জেলা পুলিশের কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার পর তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১ সামরিক কর্মকর্তা, ২ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং আরও দুজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি, ১১ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের জন্য ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
এসব কর্মকর্তা এর বেশি আর কোনো তথ্য গণমাধ্যমে জানাতে অপারগতা জানিয়েছেন। এদিকে, মিয়ানমারের স্থানীয় পুলিশ সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বোমা হামলায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষই এই বোমা হামলার দায় স্বীকার করেনি।
Advertisement
জান্তা সরকার জানিয়েছে, ‘বেশ কিছু নিরাপত্তা বাহনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা’ এতে আহত হয়েছেন। তবে হামলায় কতজন হতাহত হয়েছে সেই তথ্য জানায়নি তারা।
তবে জান্তা কর্তৃপক্ষ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের আদিবাসী বিদ্রোহী দুটি পক্ষ ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ ও ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে লাগোয়া ওই সীমান্তে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিন অং হ্লাইংয়ের জান্তা সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই সামরিক বাহিনী ও জান্তাবিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে এবং এখনও পর্যন্ত অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জান্তা বিরোধীরা মিয়ানমারে অং সান সু চির রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশটির জান্তা সরকারের বিরোধীরা এর আগেও একাধিকবার ড্রোন ও বোমা হামলা করেছে।
২০২১ সালে অভ্যুত্থান শুরুর পর থেকে ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ ও ‘পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ জান্তা সরকারের বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে মিয়াওদিতে সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে জান্তা সরকার। অনেক বিদ্রোহী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে।
Advertisement



