কংগ্রেস সাংসদের কালো টাকা নিয়ে ফের কটাক্ষ মোদির  

Written by SNS December 12, 2023 3:48 pm

দিল্লি, ১২ ডিসেম্বর – ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর ওড়িশার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বেহিসেবি নগদ টাকা। ৩৫০ কোটি নগদ  টাকা এবং প্রায় ৩ কেজি বেহিসেবি সোনার অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করেছে আয়কর বিভাগ। এই নিয়ে মঙ্গলবার কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নেটফ্লিক্সের জনপ্রিয় সিরিজ, মানি হাইস্টের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেস দেশকে লুঠ করে চলেছে।

ধীরজ সাহুর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ উদ্ধার এখন গোটা দেশের আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।  দেশজুড়ে এই ঘটনার প্রভাবে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে কংগ্রেস।  আয়কর তল্লাশিতে কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকার ঘটনা নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়।সেখানে দেখা যাচ্ছে, ধীরজ সাহুর বাড়িতে আলমারিতে বান্ডিল বান্ডিল নোট। তাঁর সঙ্গেই দেখা গিয়েছে রাহুল গান্ধিকেও। কংগ্রেস সাংসদকে তীব্র ব্যঙ্গ করে পোস্ট করা এই ভিডিয়ো নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদি।  বিদ্রুপের ধাঁচে  ক্যাপশনে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘কংগ্রেস পার্টি থাকতে ভারতে আর মানি হাইস্ট ফিকশনের প্রয়োজন নেই। গত ৭০ বছর ধরে কংগ্রেসের হাইস্ট চলে আসছে।সেই ধারা এখনও চলছে। ‘

ভিডিয়োটিতে যেমন আয়কর দফতরের হাতে বাজেয়াপ্ত ধীরাজ সাহুর বিপুল সম্পদের ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে, তেমনই ধীরাজ সাহুর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে রাহুল , মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতাদের হাত মেলানোর ছবিও রয়েছে। সেই সঙ্গে ভিডিয়োর এক অংশে, ‘মানি হাইস্ট’ সিরিজের ফুটেজে কৌশল  করে রাহুল গান্ধির মুখ বসিয়ে দেখানো হয়েছে, টাকার বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা।

ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহুর সংস্থা বৌধ ডিস্টিলারিজ প্রাইভেট লিমিটেডে হানা দিয়ে ৩৫০ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর । উদ্ধার করা নোটের ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেই পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে জনগণের টাকা লুঠের অভিযোগ আনেন তিনি। সেই সঙ্গে জনগণের প্রতিটি টাকা গুনে গুনে ফেরত নেওয়া হবে বলেও গ্যারান্টি দেন তিনি।

ধীরজ সাহুর বাড়িতে নগদ টাকার পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে আয়কর বিভাগের ৯টি দলকে ৫দিন ধরে গুনতে হয়েছে। ওড়িশার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দোকানে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির সূত্র ধরেই অভিযান চালানো হয় ধীরজ সাহুর বাড়িতে। তল্লাশির প্রথম দিনই আলমারি ও বাক্স থেকে বিপুল পরিমাণ টাকার বান্ডিল উদ্ধার হয়েছিল। তারপর টাকা গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল টাকা গোনার যন্ত্র।  সব মিলিয়ে উদ্ধার হয় ৩৫৩ কোটি টাকা।